বুধবার পাহাড়ে নিয়োগ মামলায় ৩১৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তারপরেই পাহাড়ের স্কুলগুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ডাক দিয়েছে ‘সংযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠন’। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জিটিএ এলাকায় বন্ধ রয়েছে সমস্ত সরকারি স্কুল। বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি স্কুলে রেজাল্ট বের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বন্ধের ডাক দেওয়ায় তা হয়নি। ফলে চিন্তিত পড়ুয়ারা। সকালে বহু পড়ুয়ারা স্কুলে গেলেও তাঁদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এই অচলাবস্থা কাটাতে জিটিএ প্রধান আনীত থাপা ৩১৩ জন শিক্ষক ও আধিকারিকের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। তিনি জানান, “আমি কাউকেই হতাশ হতে দেব না। শিক্ষকদের ন্যায় বিচারের জন্য যেখানে যেতে হয় আমি যাব।” সংযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের দাবি, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তাঁরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এতে শিক্ষকদের কোনও দুর্নীতি নেই, যা হয়েছে তা প্রশাসনিক ত্রুটি। আরও পড়ুন : ২০১৬-র SSC-র গ্রুপ সি-ডির যোগ্য তালিকা প্রকাশে হাই কোর্টের রায় কেপ্ট ইন অ্যাবায়েন্সের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

এই পরিস্থিতিতে এদিনের বৈঠক থেকে কোনও সমাধানসূত্র বেরোয় কি না, সেদিকেই নজর। উল্লেখ্য, জিটিএ-র আওতায় পাহাড়ে ৩৬০টি মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চে রাজ্য সরকারের নির্দেশে জিটিএ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে এবং জুনে ৩১৩ জন শিক্ষক নিয়োগ হয়। পরে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে কলকাতার জসুমুদ্দিন মণ্ডলের করা মামলায় হাই কোর্ট ৩১৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়।

–

–

–

–

–

–

–


