এক হাতে চক-ডাস্টার, অন্য হাতে গ্লোবাল স্কিল! বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে এবার নিজেদের পুরোপুরি ‘আপগ্রেড’ করে নিল নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (GTTI)। শুধু সিলেবাস শেষ করা নয়, পড়ুয়ারা যাতে ক্যাম্পাস থেকেই চাকরির বাজারের জন্য ১০০ শতাংশ তৈরি হতে পারে, তার চাবিকাঠি এবার শিক্ষকদের (Teacher) হাতে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের অন্দরেই বসেছিল এক এলাহি আসর। বিশ্বখ্যাত ‘ওয়াধওয়ানি ফাউন্ডেশন’-এর সঙ্গে জোট বেঁধে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত হল এক আন্তর্জাতিক মানের স্কিলিং প্রোগ্রাম। যেখানে খোদ শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মীরাই বসলেন ছাত্রের আসনে। লক্ষ্য একটাই, নিজেদের আরও স্মার্ট, আরও দক্ষ এবং সময়োপযোগী করে তোলা।
পুরো প্রোগ্রামটি (Program) সাজানো হয়েছিল বিদেশের বড় বড় কর্পোরেট ট্রেনিংয়ের ধাঁচে। ছিল না কোনো একঘেয়ে লেকচার, বরং ছিল কথার জাদুতে বাজিমাত যে, কীভাবে ক্লাসরুমে বা কর্মক্ষেত্রে আরও স্পষ্টভাবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরা যায়, তার বিশেষ পাঠ। বস নয়, হয়ে উঠতে হবে লিডার। কর্মীদের মধ্যে সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার গুণাবলি জাগিয়ে তুলতে চলল নানা ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশন। চাকরির বাজার এখন কী চায় সেই বুঝে ছাত্রছাত্রীদের মানসিকতা গড়ার জন্য দেওয়া হল শিক্ষকদের বিশেষ টিপস।

জর্জ টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের মতে, কেবল ডিগ্রি থাকলেই এখন আর চাকরি পাওয়া যায় না। প্রয়োজন সঠিক ব্যবহার, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আর কনফিডেন্স। আর শিক্ষকরা যদি আপ-টু-ডেট থাকেন, তবেই ছাত্রছাত্রীরা কনফিডেন্স ও সেরা শিক্ষা পাবে। এখন থেকে ক্লাসরুমে শুধু বইয়ের পড়া নয়, থাকবে গ্লোবাল টাচ আর কর্পোরেট স্মার্টনেসও। তাই এই ‘৩৬০ ডিগ্রি’রিফ্রেশার কোর্স। সেই লক্ষ্যেই এক অনন্য নজির গড়ল স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (GTTI)।

এই ট্রেনিংয়ের পর প্রতিষ্ঠানের অন্দরমহলে এখন পজিটিভিটির হাওয়া। শিক্ষকরা বলছেন, “আমরা এখন আরও নতুন উদ্যমে ক্লাসরুমে ফিরে আসছি।” অন্যদিকে, এই উদ্যোগের ফলে উপকৃত হবে হাজার হাজার পড়ুয়া, যারা আগামীর দিনে পেশাদার জগতে পা রাখতে চলেছে। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার এমন যুগলবন্দী খুব কম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই দেখা যায়। জর্জ টেলিগ্রাফ প্রমাণ করে দিল, তারা শুধু নামেই নয়, কাজে আজও সবথেকে বেশি আধুনিক।

–

–

–

–

–

–


