ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন (Friends Communication) প্রযোজিত নাট্যকার- অভিনেতা- রাজনীতিবিদ ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) পরিচালিত ‘হুব্বা’ (Hubba) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রিলিজ করতেই দর্শকদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। মাত্র আট দিনে ইউটিউবে এই সিনেমার ভিউ হয়েছে ১২ লক্ষ! সিনেমাহলের পর এবার ডিজিটাল মাধ্যমে এই ছবি দেখে আরও একবার বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা মোশারফ করিমের (Mosharraf Karim) প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলার সিনেপ্রেমীরা। কুখ্যাত গ্যাংস্টারের রাজত্ব আর অন্ধকার জগতের বাস্তব গল্প পরিচালকের মুন্সিয়ানায় প্রথম থেকেই নজর কেড়েছে। প্রতিটা চরিত্রের প্রতি যত্নশীল ব্রাত্য (Bratya Basu) সিনে বিন্যাসের পাশাপাশি গানের দৃশ্যায়নও চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সিনেমাটি ইউটিউবে এভাবে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় খুশি ফিরদৌসল হাসানের প্রযোজনা সংস্থা ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন।

বাম আমলের বাঙালি গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলের জীবন নিয়ে তৈরি ব্রাত্যর ছবিতে গ্যাংস্টারদের অন্ধকার জগতের বাস্তব ছবি এত নিপুণভাবে ধরা পড়েছে যে সিনেমা হলে গিয়ে যাঁরা এই ছবি দেখতে পারেননি বলে আক্ষেপ করেছিলেন, ইউটিউবে তাঁরা আগ্রহ নিয়ে ‘হুব্বা’ দেখছেন। নাট্যকার- অভিনেতা ব্রাত্যর গল্প বলার ভঙ্গিমা এবং তাঁর পরিচালিত সিনেমার চিত্রনাট্যের চলন বরাবরই পছন্দ করেন বাঙালি দর্শকরা। সিনেমার শৈল্পিক আত্মাকে বাস্তবের দর্পণে তুলে ধরতে পছন্দ করেন নাট্যকার – পরিচালক। ‘হুব্বা’র আয়নায় ধরা পড়ে সমসময়ের কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ-মাৎসর্যের বিন্যাস, যা এগিয়ে চলে তার দোর্দণ্ড প্রতাপ মানসিকতায়। খুন, জখম, ড্রাগ পাচার থেকে শুরু করে নয়ের দশকের শেষের দিকে হুগলির অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। ২০১১ সালে শেষ হয় তাঁর অধ্যায়, বৈদ্যবাটির খালের জলে তাঁর দেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। তাঁর জীবনের নানা বর্ণময় দিককে থ্রিলার কমেডি ঘরানায় দর্শকের সামনে হাজির করেছেন অভিনেতা পরিচালক ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।


ছবিটি ইউটিউবে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে ভিউস বাড়ছে। মাত্র ৮ দিনে ১২ লক্ষ মানুষের এই সিনেমা দেখার পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসতেই খুশি নির্মাতা থেকে কলাকুশলী সকলেই।

–

–

–

–

–

–

–


