এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন মতুয়া অধ্যুষিত নদিয়ার তাহেরপুরে নরেন্দ্র মোদি মতুয়াদের জন্য কী বার্তা দেন, তা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু ঘন কুয়াশার জন্য চপারে তো সেখানে পৌঁছতেই পারেননি মোদি, উপরন্তু বিমান বন্দর থেকে যে অডিও বার্তা তিনি দিয়েছেন তাতে ভুলেই গিয়েছেন মতুয়াদের (Matua) সাম্প্রতিক সমস্যাকে। কোথাও এসআইআর-এর (SIR) কারণে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের ভোটাধিকার (voting right) হারানোর প্রসঙ্গই উল্লেখ করেননি তিনি। এরপরই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Bandyopadhyay) কটাক্ষ যে মিথ্যাচার বাংলার সঙ্গে করেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), তার জন্য প্রকৃতিও তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
নদিয়ার তাহেরপুরে (Taherpur) সভায় মোদির যোগ দিতে না পারায় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, নরেন্দ্র মোদির গন্তব্য বাংলা হতে পারেনা, গতকাল ঈশ্বরও বুঝিয়ে দিয়েছেন। এত মিথ্যা কথা বলেছে যে আবহাওয়াও ওর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বাস্তবে, মোদির বক্তব্যের পরে তাঁকে বাংলার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ আরও জোরদার করে তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

যে তাহেরপুরের মানুষ মতুয়াদের জন্য মোদির বার্তা শোনার অপেক্ষা করেছিল, সেই মানুষদের হতাশ করেছেন মোদি। এমনটাই দাবি করে কল্যাণের দাবি, মতুয়াদের নিয়ে যে আশ্বাস দিয়েছিল সেসব কিছুই করতে পারেনি। বিজেপির এক মন্ত্রী আছে শান্তনু ঠাকুর। বলছে নাগরিকত্ব দিয়ে দেব। এটা হয় নাকি? নাগরিকত্ব আইনের একটা পদ্ধতি আছে, সরকারি নিয়ম আছে। ভিড় করে করে টাকা তুলছে আর এমন একটা কাগজ দিচ্ছে যে কাগজটা ধর্তব্যের মধ্যেই রাখা যাবে না। মতুয়াদের (Matua) ভোট তাঁদের আবেগ নিয়ে ২০২৪ পর্যন্ত জিতেছে বিজেপি। এবার মতুয়ারা বুঝে গিয়েছে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তাঁদের জন্য কিছু করবে না। যা করবে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন : ছ’মাসের মধ্যে ফের বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া! বড় ধাক্কা যাত্রীদের

তবে শুধুমাত্র মতুয়া সম্প্রদায় নয়। নরেন্দ্র মোদির মিথ্যাচার গোটা বাংলার জন্য। শনিবারের মোদির সফরের পরে সেই প্রসঙ্গে তোপ দেগে কল্যাণ তুলে ধরেন, উনি ‘জঙ্গল রাজ’ এসব অনেক কথা আগেও বলেছেন। যতবার বলেছেন বাংলার মানুষ যোগ্য জবাব দিয়েছে। যে মানুষটা বাংলা-বাঙালিকে অপমান করে, বাংলাকে বঞ্চিত করে, সে আবার বাংলার উন্নয়ন কি করে করবে? একশ দিনের কাজ বাংলার মানুষের জন্য ছিল। এই কাজ দেননি কেন? হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট বলার পরেও দিচ্ছেন না। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করব – সব সময় এই ধরনের মানসিকতা কখনোই বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। বাঙালিকে সহ্য করতে পারে না ওরা।

–

–

–

–

–


