পথশ্রী–রাস্তাশ্রী প্রকল্পের আওতায় এ বছর রাজ্যজুড়ে প্লাস্টিক বর্জ্য (Plastic waste) ব্যবহার করে প্রায় ১,৭৬০ কিলোমিটার বিটুমিনাস রাস্তা নির্মাণ করা হবে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে তৈরি হবে ২০৪.৫৬ কিলোমিটার রাস্তা। দ্বিতীয় স্থানে নদিয়া, যেখানে ১৭২.৪৬ কিলোমিটার এবং তৃতীয় স্থানে থাকা উত্তর দিনাজপুরে ১৬৭.৪৯ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের অনুমোদন মিলেছে।
এ ছাড়াও মুর্শিদাবাদে ১৫৮.৩৪ কিলোমিটার, দার্জিলিংয়ে ১১৯.৯৩ কিলোমিটার, জলপাইগুড়িতে ১১৬.৫৯ কিলোমিটার এবং পূর্ব বর্ধমানে ১১০.৪৮ কিলোমিটার রাস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে তৈরি হবে। কলকাতা বাদে রাজ্যের সব জেলাতেই এই ধরনের রাস্তা নির্মাণ করা হবে। কলকাতা পুর এলাকার রাস্তা কলকাতা পুরসভার অধীনে থাকায় তারা এই প্রকল্পের বাইরে।
গত ১১ ডিসেম্বর নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে পথশ্রী–রাস্তাশ্রী প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পর্যায়ে রাজ্যের গ্রাম ও শহর মিলিয়ে মোট ২০,০৩০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এই প্রকল্পের সুফল পাবেন প্রায় ৩৫ হাজার গ্রামের বাসিন্দা এবং ১২৮টি শহরাঞ্চলের মানুষ। পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮,৪৮৭.৮৩ কোটি টাকা, যা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের অর্থেই বাস্তবায়িত হবে।

রাস্তা নির্মাণে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করলে তা ল্যান্ডফিল, নদী ও সমুদ্রে যাওয়ার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমায়। প্লাস্টিক মিশ্রিত বিটুমিনে তৈরি রাস্তা সাধারণ রাস্তারের তুলনায় বেশি টেকসই। অতিরিক্ত তাপমাত্রা, জল জমে থাকা বা ভারী যান চলাচলেও এই রাস্তা সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। ফাটল কম হয় এবং রাস্তার সামগ্রিক গুণমান উন্নত হয়। আরও পড়ুন: সমস্যা এড়াতে এবার বরো অফিস থেকেই জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রের কপি

দফতরের দাবি, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করলে বিটুমিনের খরচও কমে, বিশেষ করে যেখানে প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রাপ্যতা বেশি। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের জারি করা ২০১৬ সালের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিতেও ভারতীয় রোড কংগ্রেসের নির্দেশিকা মেনে প্লাস্টিক রাস্তা নির্মাণে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

–

–

–

–

–

–


