ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা থেকে নিস্তার নেই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরও। একাধিক বিজেপি রাজ্যে বারবার প্রমাণিত হয়েছে এই সত্যি। বড়দিনের উৎসবের প্রাক্কালে ফের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের (Christian) উৎসবে হামলা বজরং দলের। কেন্দ্রের মোদি (Narendra Modi) সরকারের নীরবতাই এর জন্য দায়ী, এমনটাই দাবি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের।

ঠিক বড়দিনের (Christmas) আগেই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি শাসিত ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) ধর্মান্তকরণের ধুয়ে তুলে ছত্তিশগড় বনধের ডাক দেওয়া হয়। বুধবার সেই বনধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেয়নি ছত্তিশগড়ের মানুষ। যদিও ভাংচুরের ভয়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে রাজধানী রাইপুরে (Raipur) একটি শপিংমলে ভাঙচুর চালায় বজরং দলের লোকজন। অভিযোগ, শপিং মলটিকে বড়দিনের (Christmas)আগে কেন সাজানো হয়েছিল।

বুধবার ছত্তিশগড়ের কিছু অংশে বনধের ডাক দিয়েছিল বজরং দল। বনধ সমর্থকদের একাংশ রাইপুরে বড়দিন উপলক্ষ্যে সাজানো একটি শপিংমলে ভাঙচুর চালায়। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার জিনিস নষ্ট হয়, বলে দাবি মল কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ, ধর্ম জিজ্ঞাসা করে হামলা চালায় হামলাকারীরা।
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে মঙ্গলবার একটি চার্চে এক খ্রিস্টান উপাসককে হুমকি দেওয়ার ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পরেও যোগী রাজ্যের পুলিশ যে এই ধরনের হামলা ঠেকাতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, তা স্পষ্ট হল বুধবারে। উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে একটি চার্চে বুধবার প্রার্থনা চলাকালীন বাইরে ক্যারলের আওয়াজ বন্ধ করতে হনুমান চালিশা পাঠের আসর বসায় বজরং দলের সদস্যরা।

আরও পড়ুন : চার্চে ফাদারের ঘাড় ধরে হুমকি! যোগীরাজ্যে ‘ধর্মান্তরিত বাংলাদেশি’র হিন্দুত্বের হুংকার

আশ্চর্যজনকভাবে, ওই চার্চের কয়েকশো মিটারের মধ্যে জেলা শাসক তথা একাধিক প্রশাসনিক দফতর রয়েছে। তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের স্বাধীন ধর্মাচরণে এই ধরনের বাধা দেওয়া নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। এমনকি ছত্তিশগড়ের রাইপুরের ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও বরেলির ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি প্রশাসনিকভাবে।

–

–

–

–


