কনকনে ঠান্ডাকে সঙ্গী করে বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। জেলা থেকে শহর—সর্বত্রই উৎসবের আমেজ, তবে প্রতি বছরের মতো এবারও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে তিলোত্তমার তিলোত্তমা ‘পার্ক স্ট্রিট’। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আট থেকে আশি, সব বয়সের মানুষের ভিড়ে মুখরিত পার্ক স্ট্রিট। বেলা গড়াতেই যা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।

পার্ক স্ট্রিটের দু’দিকের দোকানপাট, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে এবং হোটেলগুলি সেজেছে নতুন সাজে। চারিদিকে রঙিন আলোর রোশনাই, বিশালাকার ক্রিসমাস ট্রি এবং সান্টা ক্লজের টুপি মাথায় কচিকাঁচাদের ভিড় এক মায়াবী পরিবেশ তৈরি করেছে। স্পিকারে বাজছে বড়দিনের বিশেষ গান, যা পথচারীদের উদ্দীপনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শহরবাসী তো বটেই, প্রচুর পর্যটকও ভিড় জমিয়েছেন পার্ক স্ট্রিটের আলোকসজ্জা চাক্ষুষ করতে।

ভিড়ের কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের নিরাপত্তার দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী এবং ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলছে কড়া নজরদারি। ভিড় সামাল দিতে এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া, রেস্তোরাঁ ও জনবহুল জায়গাগুলিতে কড়াভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
বিকেলের পর থেকে পার্ক স্ট্রিটের ছবিটা পুরোপুরি বদলে যায়। সন্ধ্যার আলো জ্বলে উঠতেই ভিড় দ্বিগুণ হয়ে যায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, রাত যত বাড়ছে, মানুষের ঢল ততই বাড়ছে। রেস্তোরাঁগুলোর সামনে লম্বা লাইন এবং ফুটপাথে পর্যটকদের সেলফি তোলার হিড়িক জানান দিচ্ছে যে, শীতের এই উৎসবের মরশুমে তিলোত্তমার শ্রেষ্ঠ গন্তব্য আজও পার্ক স্ট্রিট। সব মিলিয়ে, উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে কলকাতার রাজপথ, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ মেতে উঠেছেন বড়দিনের খুশিতে।

আরও পড়ুন- সাহিত্য অকাদেমিতেও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা বিজেপির! দমদম বইমেলার মঞ্চে সুর চড়ালেন ব্রাত্য

_

_

_

_

_
_


