সুপ্রিম কোর্টের চাপে আধারকার্ডকে দলের অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের মতো দলের তালিকায় নাম রেখেছে নির্বাচন কমিশন। তবে সেই অতিরিক্ত খেলোয়াড়কে মাঠে নামাবেন কি না তা যেমন কোচের উপর নির্ভরশীল, তেমনই নির্বাচন কমিশনের হাতে, আধার কার্ডকে (Aadhaar card) কেমনভাবে ব্যবহার করা হবে। এসআইআর-এর শুনানি (hearing) পর্বে শুধুমাত্র আধারকে প্রামাণ্য নথি হিসাবে মানা হবে না বলেই জানালো নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সেক্ষেত্রে ১২টি নথিকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে শুনানিতে কোনও ভাবে ভুল বা নকল নথি জমা দিলে জেল পর্যন্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন।

শনিবার থেকেই রাজ্যে ভোটার তালিকার এসআইআরের (SIR) শুনানি পর্ব শুরু হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া একাধিক পর্বে ভাগ করেছে কমিশন (Election Commission)। রাজ্যজুড়ে মোট ৩,২৩৪টি শুনানি (hearing) কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্বে প্রায় ৩২ লক্ষ ‘আনম্যাপড’ ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হচ্ছে। এঁরা সেই সব ভোটার, যাঁরা ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক দেখাতে পারেননি।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল (Manoj Agarwal, CEO) জানিয়েছেন, শুনানির জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মাইক্রো অবজারভারের কড়া নজরদারিতে এই শুনানি পর্ব চলবে। প্রতিটি শুনানি কেন্দ্রে ইআরও (ERO), এইআরও (AERO), বিএলও (BLO) এবং পর্যবেক্ষকের মতো অনুমোদিত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না। শুনানির সময় সব কেন্দ্রেই ফটো ডকুমেন্টেশন করা হবে।
আরও পড়ুন : ইআরও–দের না জানিয়েই ভোটারদের নাম বাদ, মনোজ আগরওয়ালকে চিঠি আমলাদের

এসআইআরের প্রথম পর্বে বিএলও-রা যখন কাজ শুরু করেছিলেন, তখন নোটিশ পেয়েও যে বিএলও-রা কাজে যোগ দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল কমিশন। যদিও পরে সকলেই কাজে যোগ দেন। দ্বিতীয় পর্বেও মাইক্রো অবজার্ভারদের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত কমিশনের। কাজে না যোগ দেওয়ার কারণ এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি শো-কজ (show cause) নোটিস জারি হয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে নোটিস হয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে সাসপেনশনের মতো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

–

–

–

–

–


