ক্রমাগত ভারত-বিরোধী স্লোগানে উত্তপ্ত প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। হিংসার হাড়হিম করা ছবি প্রায় প্রতিদিন উঠে আসছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে প্রতিবেশী দেশের অশান্তির আঁচ কোনওভাবেই বাংলার সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় না পড়ে, তার জন্য শিলিগুড়ি (Siliguri) ও মালদহ (Maldah) এলাকায় হোটেলে বাংলাদেশিদের (Bangladeshi) থাকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল হোটেল মালিক সংগঠনগুলি।

একদিকে উত্তরপূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার্স ও বাংলার চিকেন নেক ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক থেকে ধর্মীয় নেতারা। আক্রান্ত হয়েছে ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার দফতরও। তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ পর্যন্ত নেয়নি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Interim Government)। আবার ভারতে তার প্রতিবাদ হলে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবে কোনও হিংসার প্রভাব যাতে ভারতে তথা বাংলায় না পড়ে, তার জন্য আগাম সতর্কতা হোটেল মালিক সংগঠনগুলির।

বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পরে শিলিগুড়ি, মালদহের হোটেলগুলিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য প্রবেশে লাগাম টানা হয়েছিল নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে। শুধুমাত্র পড়ুয়া ও চিকিৎসার জন্য ভারতে আসা বাংলাদেশিদের জন্য খোলা ছিল দরজা। এবার সেই দরজাও বন্ধ করল এই দুই এলাকার হোটেল মালিকরা।
হোটেল মালিকদের মূলত দুটি বক্তব্য। প্রথমত, বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদীদের প্রভাবে পরিস্থিতি অশান্ত। সেই পরিস্থিতিতে দেশ ও রাজ্যের নিরাপত্তা বিধান করা তাঁদেরও দায়িত্ব। সেই দিকে নজর রেখে স্টুডেন্ট ভিসা বা মেডিক্যাল ভিসায় ভারতে আসা ব্যক্তিরা ভারতে কোনও অশান্তির পরিবেশ যাতে তৈরি না করতে পারে বা তাঁদেরও নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য সকলের জন্যই হচ্ছে দরজা বন্ধ।


দ্বিতীয়ত, ভারতের ভিসা কেন্দ্রগুলি (visa centre) অনেক ক্ষেত্রে বন্ধ বা আংশিক কাজ করছে। সেই কারণেই নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক জটিলতা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এমনিতেই বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি নিরাপত্তা সংক্রান্ত তদারকি ও তল্লাশি বাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন শুধুমাত্র মেডিক্যাল ট্রানজিটে বাংলায় আসেন। কিন্তু তাঁদের নিয়েও কোনও ঝুঁকি নিতে চান না হোটেল মালিকরা।

–

–

–

–


