খসড়া তালিকায় নাম ওঠেনি লোকসভায় তৃণমূলের চিফ হুইপ তথা বারাসতের ৪ বারের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পরিবারের সদস্যেদের। এসআইআরের (SIR) শুনানিতে ডাক পেলেন দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত পরিবারের ৪ সদস্য। সাংসদের মা, ৯০ বছর বয়সি ইরা মিত্রকে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। তাঁকে ছাড়াও ডাকা হয়েছে কাকলির দুই ছেলে পেশায় চিকিৎসক বিশ্বনাথ দস্তিদার ও বৈদ্যনাথ দস্তিদারকে। এমনকি কাকলির ছোট বোন পিয়ালি মিত্রকেও ডাকা হয়েছে শুনানির জন্য। চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakali Ghosh Dastidar)।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। এই ঘটনায় বারাসতের চিকিৎসক সাংসদ সরাসরি দায়ী করছেন নির্বাচন কমিশন (ECI) ও বিজেপিকে। তিনি বলেন, ‘আমি গত ৫০ বছর রাজনীতি করছি। তার পরেও আমার পরিবারের সদস্যদের কমিশনের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে! আমার ক্ষেত্রেই যদি এমন হয়, তাহলে সাধারণ মানুষকে কীভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে।’

কাকলির দুই ছেলে কলকাতার ভোটার। মা ও বোন উত্তর ২৪ পরগনায় ভোট দিয়ে এসেছেন এতদিন। তাঁরা মধ্যমগ্রামের দিগবেরিয়ায় এতদিন ভোট দিয়ে আসছেন। সেই মতো কাকলির দুই ছেলেকে কলকাতায় এবং মা ও বোনকে বারাসত ২ নম্বর ব্লকে শুনানিতে হাজির হতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, শনিবার পরিবারের তরফে তাঁরা যেতে পারেন বিডিও আফিসে।
মধ্যমগ্রাম বিধানসভা ১১৮, ২৩২ নম্বর পার্টের বিএলও কপিল আনন্দ হালদার জানান, ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকার যে লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পরিবারের নাম ছিল। তাঁর দাবি, এন্যুমেরেশন ফর্ম ফিলাপ করার ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কোনরকম সমস্যার কারণেই হয়তো এসআইআরের শুনানিতে ডাকা হয়েছে বলে মত বিএলও-র। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পিয়ালী মিত্র ও ৮ জানুয়ারি ইরা মিত্রকে ডাকা হয়েছে বলেও জানান বিএলও।

শনিবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে এসআইআরের শুনানি পর্ব। ঠিক কতজন ভোটারের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বে, তা নিশ্চিত হবে শুনানির মাধ্যমেই। শুনানির নামে যাতে কোনও সাধারণ মানুষকে হয়রানির মুখে না পড়তে হয়, সেই দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। এই ইস্যুতে আজ দুপুরে কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তাদের প্রতিনিধিদল।

–

–

–

–

–


