নিজেদের পছন্দমতো ভোটার বাছাই করার চেষ্টা চলছে! এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার দুপুরে দলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করে ভোটার তালিকা সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় একাধিক অসঙ্গতির অভিযোগ জানিয়ে লিখিত চিঠি জমা দেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, ডাঃ শশী পাঁজা, ডাঃ মানস ভুঁইয়া ও মলয় ঘটক। কমিশন দফতর থেকে বেরিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি জমানায় সরকার আর ভোটারদের দ্বারা নির্বাচিত হচ্ছে না, বরং সরকার নিজেদের পছন্দমতো ভোটার নির্বাচন করছে। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন এখন বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

তৃণমূলের দাবি, বাংলায় দেড় কোটি থেকে দু’কোটি ভোটারকে বাদ দেওয়ার একটি টার্গেট দেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই কমিশন কাজ করছে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনকে তোয়াক্কা না করে লক্ষ লক্ষ বৈধ ভোটারের নাম কীভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতারা। কাদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে এবং সেই তালিকা কোথায়—এই সব তথ্য প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। চন্দ্রিমা জানান, মৃত, অনুপস্থিত, ডুপ্লিকেট ও স্থানান্তরিত ভোটার মিলিয়ে প্রায় ৫৮ লক্ষ নাম বাদ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে, যা সাধারণত ইআরও-দের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সেই ক্ষমতা তাঁদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে অন্য কাউকে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। তাঁর প্রশ্ন, এটা কি দেড় বা দু’কোটি ভোটার বাদ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের তাগিদে?

শুনানির সময়সীমা নিয়েও তীব্র আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ, প্রথমে ১৭ তারিখ, পরে ২৩ তারিখ এবং শেষে ২৭ তারিখ শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। মাত্র পাঁচ দিনে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের শুনানি কীভাবে সম্ভব, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। যাঁরা বাইরে রয়েছেন, বয়স্ক বা শয্যাশায়ী নাগরিকরা কীভাবে শুনানিতে হাজির হবেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়। ৮০ বা ৮৫ বছরের প্রবীণদের দূরের কেন্দ্রে শুনানিতে ডাকা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে মানুষ হাজির হতে না পারেন এবং সেই সুযোগে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া যায়। এভাবেই বিজেপির দেওয়া লক্ষ্যপূরণ করছে নির্বাচন কমিশন—এমনই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন- যতই করো হামলা, আবার জিতবে বাংলা! গর্জন ১০ কোটির

_

_

_

_

_

_
_


