বাংলার নির্বাচনের (West Bengal assembly election) কথা মাথায় রেখে তিনদিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার সাংবাদিক বৈঠকে নাম করে করে তৃণমূল নেতাদের (TMC) জেলে যাওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শাসক দলকে আক্রমণ করেন তিনি। পাল্টা ‘জেলখাটা খুনের আসামি’কে এক হাত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর আরেকবার ব্যর্থ হতে চলা বঙ্গ সফরে এসে শুনলাম খুব আক্রমণ করেছেন এবং আমার নাম উচ্চারণ করেছেন। একটা খুনের মামলার আসামি হয়ে যিনি জেলে ছিলেন তাঁর কাছ থেকে জেলের কথা শুনবো? ওনার মামলা কীভাবে এগিয়েছে তা সারা দেশের লোক জানেন।”

আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ডুবন্ত বঙ্গ বিজেপির হাল-হকিকত বুঝে নিতে কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।এদিন প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার সাংবাদিক বৈঠকে অনুপ্রবেশকে হাতিয়ার করে ভোট রাজনীতি করার চেষ্টা করেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষের মতো তৃণমূল নেতাদের জেলে যাওয়ার প্রসঙ্গও শোনা যায় তাঁর মুখে। কিন্তু যিনি নিজে খুনের মামলার জেল খেটে এসেছেন তিনি এসব কথা বলেন কীকরে? মাননীয় মন্ত্রী কি তাহলে তাঁর অতীতের দিনগুলোর কথা ভুলে গেছেন? এদিন ভিডিও বার্তায় কুণাল স্পষ্ট বলেন, ‘আমি অপরাধী কিনা সেটা তো সময়ের সঙ্গে জানতে পারবেন। আমার অধিকাংশ মামলার শেষ হতে চলেছে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে জেল থেকে বেরিয়েছেন এবং তারপর তিনি কী কী করেছেন সে কথা গোটা দেশের মানুষ জানেন। যুক্তি দিয়ে কথা বলতে না পেরে মিথ্যে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছেন বিজেপি মন্ত্রী।’ এদিন অমিত শাহের বক্তব্যের সিংহভাগ ছিল অনুপ্রবেশ ইস্যু। তার বিরুদ্ধেও সুর চড়ান তৃণমূল নেতা। বলেন, ত্রিপুরার অনুপ্রবেশ নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। কদিন আগেও সেখান থেকে বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা ধরা পড়েছে। বিএসএফ যেহেতু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দফতরের অধীনে পড়ে, তাই অনুপ্রবেশ হলে সেই ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণভাবে অমিত শাহের। পাশাপাশি নিজে একজন খুনের মামলার আসামি হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে অন্যের দুর্নীতি কথা বলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল।

–
–

–

–

–

–

–

–


