দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতায় থাবা বসানো লক্ষ্য বিজেপির। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই বিশেষভাবে কলকাতার নেতাদের সঙ্গে একের পর এক ম্যারাথন বৈঠকে সেকেন্ড ইন-কমান্ড অমিত শাহ (Amit Shah)। আর সেখানেই উঠে এলো নেতৃত্বদের মধ্যে বড় ফাঁক। শেষ পর্যন্ত অমিত শাহকে নির্দেশ জারি করতে হল বিধায়কদের কলকাতার (Kolkata) বিধানসভাগুলিতে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার।

আদতে বিজেপির জনবিচ্ছিন্ন নেতারা কেন্দ্র্রের ভ্রান্ত নীতির কারণেই বাংলার মানুষের থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে গিয়েছে। ফলে মনোবল হারিয়েছে বঙ্গ বিজেপি বিশেষত কলকাতার বিজেপি নেতারা। এবার সশরীরে কলকাতায় এসে সেই মনোবল ফেরানোর চেষ্টা চালালেন অমিত শাহ। কলকাতার চার সাংগঠনিক জেলার বুথস্তরের কর্মীদের (booth level worker) সঙ্গে বৈঠকে করলেন তিনি।

কলকাতার ২৮ বিধানসভার (assembly constituency) মধ্যে ২০টি জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অমিত শাহ। নির্দিষ্টভাবে নাম না বললেও এই ২০ বিধানসভার প্রার্থী কারা হবেন, তা নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণ করবে শীর্ষ নেতৃত্ব, স্পষ্ট করে দিলেন শাহ। আগামী দুমাস বা নির্বাচন ঘোষণা (election declaration) পর্যন্ত কোন বিধায়ক কেমন কাজ করছেন, তার উপরই নির্ভর করবে প্রার্থী (candidate) নির্বাচন, স্পষ্ট জানিয়েছেন শাহ।
আরও পড়ুন : সংগঠন বাড়াতে সেই দিলীপেই ভরসা! শাহ ডাকতে বাধ্য হলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে

লক্ষ্য পূরণ করতে কীভাবে এগোতে হবে, তা কলকাতার দলীয় কর্মীদের ঠিক করে দিতে আসতে হয়েছে স্বয়ং অমিত শাহকে। সেখানে শাহ স্পষ্ট করে দেন, বিধানসভা এলাকায় বিধায়কদের (MLA) সপ্তাহের অন্তত চারদিন থাকতে হবে। জনগণের আরও কাছে পৌঁছতে হবে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের জনগণের থেকে দূরত্ব ভালোভাবে দেখছে না, তাও কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন শাহ। যদিও কলকাতার নেতা কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে জয়ের স্বপ্ন দেখানো ছাড়া আর পথ ছিল না অমিত শাহরও।

–

–

–

–

–


