Thursday, November 13, 2025

সামাজিক প্রকল্পগুলির গতিবৃদ্ধির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

Share post:

‘দিদিকে বলো’-র মাধ্যমে রাজ্যবাসীর গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কথা শোনার পর এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই সব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ” সাধারন মানুষের অসুবিধার কথা জানতেই এই ‘দিদিকে বলো’। প্রশাসনের কাছে যখন প্রাথমিকভাবে বেশকিছু সমস্যার তালিকা চলেই এসেছে, তখন সে সব আর ফেলে রাখা যাবেনা”। দ্রুত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশও দিয়েছেন রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের। ‘দিদিকে বলো’-তে সমস্যার কথা জানালে, সেই সমস্যার যে সমাধান হয়, পুজোর আগেই সেই বার্তা দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বস্তুত ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির বেনজির সাফল্যে অনুপ্রণিত রাজ্য সরকার।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারন মানুষ ফোনে নানা ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। রাজ্যের মানুষ খোলাখুলি মনের কথা জানিয়ে, চালু থাকা সামাজিক প্রকল্পগুলির পরিধি বৃদ্ধির অনুরোধই মূলত করেছেন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এ সব সমস্যাসমূহ কয়েকদফায় বাছাই করা হয়ে গিয়েছে। প্রথমত জেলাওয়াড়ি আলাদা আলাদা করা হয়েছে। তারপর সমস্যাভিত্তিক বাছাইয়ের কাজ হয়েছে। জেলাভিত্তিক এই তালিকা পাঠানোর কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু হচ্ছে। জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তালিকা ধরে ধরে প্রত্যেকের সমস্যার সমাধান করতে হবে। সামাজিক প্রকল্পগুলির গতি আরও বাড়াতে হবে।

মৌলিক পরিষেবার সুযোগ রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও আর্থিক উন্নয়নের জন্য গত 7-8 বছরে নানা প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এসব সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে রাজ্যের সাধারন মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাতে পারছেন। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে এ ঘটনা বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। রাজ্য সরকার গত 7-8 বছরে রাজ্যে চালু হওয়া ও চালু থাকা গুরুত্বপূর্ণ পথিকৃৎ প্রকল্পগুলির মাধ্যমে যেসব সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে ও যাবে তার পরিধি আরও বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসকদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, সামাজিক
প্রকল্পগুলির আওতায় নিয়ে আসতে হবে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে।
কন্যাশ্রী প্রকল্প তো বটেই, ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে সাড়া ফেলেছে অন্যান্য প্রকল্পও। মূলত,
সবুজ সাথী, যুবশ্রী,
শিশুসাথী, নির্মল বাংলা,সমব্যথী, গতিধারা, শিক্ষাশ্রী, কৃষকবন্ধু, স্বাস্থ্য সাথী, পথ সাথী,মুক্তির আলো, রূপশ্রী, মুক্তিধারা,সামাজিক মুক্তি, সেচ বন্ধু,
প্রাণধারা প্রকল্প সাধারন মানুষ নিবিড়ভাবে গ্রহণ করেছে। এবার এসব প্রকল্পে আরও বেশি জোর দেওয়ারই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

spot_img

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...