বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াস! একনজরে পুজোর কার্নিভাল

থিম: কার্নিভালের থিম রাখা হয়েছে বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুরের রাঙ্গা মাটির দেশ। টেরাকোটা শিল্পের আদলে তৈরি করা হয়েছে মূল দুটি মঞ্চ। গোটা রেড রোডে ১২টি এলইডি লাগানো হয়েছে। বিশেষ আলোয় সেজে উঠেছে রেড রোড।

থিম শিল্পী: গোটা মঞ্চ তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন টলিউডের বিখ্যাত ফিল্ম আর্ট ডিরেক্টর তন্ময় চক্রবর্তী। যিনি ১২৫টি সিনেমার সেট তৈরি করেছেন।

শোভাযাত্রা: শোভাযাত্রার শুরুতে থাকবে কলকাতা পুলিসের টর্নেডো বাহিনী। এবার কার্নিভালে শহর ও শহরতলীর ৭৫টি পুজো অংশগ্রহণ করবে। প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৩ মিনিটের মধ্যে নিজেদের থিম ও অন্যান্য পারফরম্যান্স দেখাতে হবে।
প্রতিটি শোভাযাত্রার সঙ্গে ৫০জন স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিতে পারবেন। টালা ব্রিজ বন্ধ থাকার কারণে একটি পুজো কমিটিকে ঘুরপথে নিয়ে আসা হবে কার্নিভাল স্থলে। সমস্ত পূজা কমিটির সঙ্গে থাকবে লোকাল থানার পুলিশ।

সময়: বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রেড রোডে ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে থেকে শুরু হবে বিসর্জনের বিশেষ শোভাযাত্রা। দুপুর দুটোর মধ্যে চলে আসতে হবে সমস্ত পুজো কমিটিগুলিকে।

অতিথি: প্রতিবারের মতোই এবারও কার্নিভালের মধ্যমণি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমন্ত্রিত আছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং বিশেষ অতিথিদের রাখা হবে। থাকবেন সরকারী আমলা, মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা-সহ শহরের কয়েক হাজার বিদেশি পর্যটক।

মঞ্চ: গোটা রেড রোড জুড়ে কার্নিভালের জন্য বিস্কুট ও পোড়ামাটির রংয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। ৮৪ ফুট লম্বা ও ২৪ ফুট চওড়া মাপের মূল মঞ্চ হয়েছে দুটি। রেড রোডের পূর্ব দিকের মঞ্চে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। সেই মঞ্চটিতে পুরো টেরাকোটার কাজে বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। মঞ্চটি বানানো হয়েছে ঠাকুরদালানের ধাঁচে। যার দেওয়ালে রয়েছে ব্যাকলিট গ্লোসাইন আলো দিয়ে লেখা, ‘পুজোর কার্নিভাল’, বিসর্জনের বিশেষ শোভাযাত্রা। পাশে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও বিশ্ববাংলা লোগো। এই মঞ্চে থাকবে ৩৭টি চেয়ার। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল ছাড়াও বসবেন বিশেষ সেলিব্রিটি অতিথিরা। উল্টোদিকের একইরকম মঞ্চে বসবেন বিদেশি অতিথি-অভ্যাগতরা। সেখানে ৩২ বা ৮ ফুটের এলইডি স্ক্রিন রয়েছে। এছাড়াও আরও মঞ্চ রাখা হয়েছে। যেখানে মোট ১৫ হাজার সাধারণ মানুষের বসার জন্য চেয়ার রাখা হয়েছে।

নিরাপত্তা: কার্নিভালে ভিআইপি, ভিভিআইপি-দের পাশাপাশি থাকবেন কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সম্প্রচার: মেগা কার্নিভালের সরাসরি সম্প্রচার করবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল। বিভিন্ন নিউজ ওয়েব পোর্টাল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজে লাইভ হবে অনুষ্ঠানটি। সব মিলিয়ে পুজো শেষে আর এক উৎসবের অপেক্ষায়। কলকাতা।

Previous articleশুক্রবার আসছেন চিনা প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্যের শিকল খুলতে মরিয়া দিল্লি
Next articleরাজ্যপাল রাজনৈতিক দলের হয়ে কথা বলছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়