নানুরে মহিলার মৃত্যুতে শুরু রাজনৈতিক তরজা

রাজ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত বা তাঁর পরিবারের লোকজনকে নিজেদের কর্মী-সমর্থক বলে দাবি করছে গেরুয়া শিবির। বাদ গেল না নানুরও। সোমবার দুপুরে নানুরের পশ্চিম পাড়ায় সংঘর্ষ বাধে। চলে গুলি। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার।

অভিযোগ, মালপাড়ার ৮-১০ জন দুষ্কৃতী পশ্চিম পাড়া আক্রমণ করে। ঘটনায় পশ্চিমপাড়া মৃত্যু হয় এক মহিলার মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকজন আহত হন। মৃত শঙ্করী বাগদির আত্মীয় বৈদ্যনাথ বাগদির অভিযোগ, মালপাড়ার কয়েকজন দুষ্কৃতী বন্দুক সহ অস্ত্র নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে শঙ্করীর দেহে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দারা দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রামবাসীদের দাবি, দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তাঁরা দেহ তুলতে দেবেন না। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে দেহ তুলে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।
এরপরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। শঙ্করী বাগদি ও তাঁর পুত্রকে তাদের দলের সদস্য বলে দাবি করে বিজেপি। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলা নেতৃত্ব। বীরভূমের পুলিশ সুপার জানান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ ঘিরেই এই সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়ন রয়েছে নানুর থানার পুলিশ।