রাজনৈতিক সংঘর্ষে থমথমে উত্তর চব্বিশ পরগনার ঘোলা। ফের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ আধিকারিক। সোমবার, রাতে ঘোলার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে মণ্ডল কমিটির বৈঠক করছিলেন বিজেপির উত্তর কলকাতা শহরতলির সভাপতি কিশোর কর। অভিযোগ, বাড়ির ছাদে যখন বৈঠক চলছিল, তখন ৫০-৬০ জনের দুষ্কৃতীদল সেখানে জড়ো হয়। কিশোর করের গাড়ির চালককে মারধর করে। এরপর বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা। ভোলাডাঙা পুলিশকে ফোন করলে, পুলিশ গিয়ে বিজেপি নেতাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বিজেপি অভিযোগ, এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা থানার সামনে জোড় হন। দুপক্ষের মধ্যে পুলিশের সামনেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। চলে গুলি। সংঘর্ষে আহত হন ঘোলা থানার ওসি সহ ৪পুলিশ কর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে করে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ২ বিজেপি কর্মী। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে, তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন স্থানীয় তৃণমূলের নেতা অরিন্দম বিশ্বাস ও কাউন্সিলর রুপালি বিশ্বাস। তাঁদের অভিযোগ, বহিরাগত নিয়ে এসে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছে চাইছে বিজেপি। রুপালি বিশ্বাসের স্বামী সহ দুই তৃণমূল নেতাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় ব়্যাফ, কম্ব্যাট ফোর্স নামনো হয়েছে।


আরও পড়ুন-শান্তিনিকেতনে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৫ জন
