সন্ধ্যায় ছিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহিনবাগের সবরমতী হস্টেল। রাত বাড়তেই তা পাল্টে তা চলে গেল এইমসে। যেখানে ঐশী সহ ২০জন ভর্তি রয়েছেন। আহত ঐশীর মাথার স্ক্যান হয়েছে। ট্রমার মাঝেই জ্ঞান হারাচ্ছেন। বেশ কয়েক জনের হাত-পা ভেঙেছে। এছাড়াও শরীরের নানা অংশে চোট পেয়ে হাসপাতালে কমপক্ষে ২০জন ছাত্র-ছাত্রী। হাসপাতালে রাতেই এসে আহতদের দেখে যান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি, মনোজ তেওয়ারি সহ বিভিন্ন দলের নেতারা। ঘটনার পরেই এইমসে চলে আসেন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব। তাঁরা হাসপালের সামনে বসে পড়েন। ধরণায় বসে পড়েন যুব কংগ্রেস, ভীম আর্মির সমর্থকরা। তাদের স্পষ্ট কথা, এই রাতে হাসপাতালে এসেছি এটাই বোঝাতে যে মোদি তুমি ভয় পেয়েছ। একটার পর একটা রাজ্যে হারছে। এনআরাসি-সিএএ নিয়ে নাকানি চোবানি খাচ্ছে। শুধু পিছনে হাঁটা। মাটি হারানোর ভয়ে তাই মরিয়া চেষ্টা এবং গুণ্ডামি। পাল্টা হাসপাতালে আসে এবিভিপি সমর্থকরাও। ইয়েচুরি এবং প্রিয়াঙ্কা হাসপাতালে এলে জয়শ্রীরাম ধ্বনি তোলে এবিভিপি। রাতে এইমস জুড়ে ভিড় বাড়তে শুরু করলে পুলিশ সকলকে এইমসের মেইন গেটের বাইরে সরিয়ে দেয়। কিন্তু প্রবল ঠাণ্ডাতেও পড়ুয়া কিংবা ছাত্র-যুব কর্মীদের হাসপাতাল চত্বর থেকে টলানো যায়নি।



