তফাত এখানেই৷

জনতার মধ্য থেকে, জনতার পাশে থেকে উঠে আসা নেত্রী এমনই হয়৷

CAA ও NRC-র প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসতে পদযাত্রা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক সময়ে দেখা যায় পদযাত্রার সামনে একটি অ্যাম্বুল্যান্স এসে আটকে পড়েছে৷ সে খবর শোনামাত্রই নিজে তৎপর হন মমতা। সঙ্গে সঙ্গে পদযাত্রায় সামিল হওয়া প্রত্যেককে একদিকে সরে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে
জায়গা করে দিতে নির্দেশ দিলেন৷ নেত্রীর নির্দেশে তৎক্ষণাৎ সতীর্থরা জায়গা করে দিলেন৷
অ্যাম্বুল্যান্সটি পার হয়ে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে
স্বাভাবিক গতিতে ফের এগোতে থাকলো ওই পদযাত্রা৷

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গত সোমবার যখন নিজের সভার বিঘ্ন ঘটিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সকে পর্যন্ত যাওয়ার পথ দেননি, সেখানে প্রকৃত জননেত্রী মমতা দেখালেন এবং বোঝালেন, মানবিকতার অভাব থাকলে, মানুষের কথা বলার অধিকারও থাকেনা৷ আর সেক্ষেত্রেও মমতা অনন্যা ৷
সেদিন কৃষ্ণনগরের মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন রাজ্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঞ্চের সামনে হাজারো লোকের ভিড়। সে সময় পথ চাইছিলো একটি অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু কোনওভাবেই ছাড়া হল না রাস্তা। বরং দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘এখান দিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। লোকে রাস্তায় বসে আছে। ডিসটার্ব হবে। ঘুরিয়ে অন্য দিক দিয়ে যান।’
পরে জানা গেল, সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এক গর্ভবতী মহিলাকে। সেই কারণে এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগও।

সেদিন দিলীপ ঘোষের হুমকিতে অ্যাম্বুল্যান্স ঘুরে যাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে দেখা যায়, দিলীপ বাবুর কথা ঠিক নয়৷ ওই অ্যাম্বুল্যান্স খালি ছিল না৷ তাতে এক প্রসূতি ছিলেন।
বৃহস্পতিবার মমতার বাস্তববোধ দেখে বিরোধীরাও বলেছেন, কেবল নীতি-আদর্শেই নয়, মানুষ হিসেবেও দু’জনের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক৷
