বিজেপির হয়ে মাঠে না নামলে এবার প্যাঁচে পড়তে চলেছেন শোভন

বেশ চাপেই পড়লেন কলকাতার প্রাক্তণ মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়৷

সূত্রের খবর, একটা নৌকা এবার বোধহয় শোভনকে ছাড়তে হবে৷ বিনা শর্তে তৃণমূলে ফেরা অথবা সামনে এসে বা পিছনে দাঁড়িয়ে বিজেপির হয়ে পুরসভা ভোট পরিচালনা করা, যে কোনও একটি নৌকা তাঁকে এবার বেছে নিতেই হবে৷

পুরভোট, বিশেষত কলকাতা পুরসভা দখলের লক্ষ্যেই শোভনকে দলে নিয়েছে বিজেপি৷ ঠিক একারনেই বিজেপিকে অবজ্ঞা করার তাঁর টানা চেষ্টাও দল হজম করে চলেছে৷ পুরভোটের আগে এবার তার হেস্তনেস্ত চাইছেন গেরুয়া নেতারা৷

সক্রিয়ভাবে দলের সঙ্গে না থাকলেও এখনও শোভন বিজেপি ছাড়েননি। তৃণমূলও তাঁকে দলে ফেরানোর আগ্রহ দেখাচ্ছে না৷ যদিও তৃণমূলে ফিরতে কম চেষ্টা করছেন না তিনি৷ কিন্তু রাজনীতির সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা মিশিয়ে দিয়ে গোটা প্রক্রিয়াই বিশ বাঁও জলে পাঠাচ্ছেন শোভন নিজেই৷ শোভন বুঝতে পারছেন না, তাঁকে তৃণমূলে ফিরতে হলে, রত্না চট্টোপাধ্যায়কে মেনেই ফিরতে হবে৷ ঠিক এই ইস্যুতে আলোচনার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল৷
বাস্তব এটাই, কলকাতা পুরসভার ভোটকে নজরে রেখেই প্রাক্তন তৃণমূলি মেয়রকে দলে আনে
বিজেপি৷ ২০১৯-এর আগস্টে দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি৷ কিন্তু যোগ দেওয়ার দিন থেকেই তাঁর সঙ্গে গেরুয়া নেতৃত্বের একাংশের মনোমালিন্য শুরু হয়৷ সম্ভবত, সে কারনে অন্তরালেই রয়েছেন শোভন। শহরে অমিত শাহের সভাতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁকে দেখা যায়নি।

পুরভোটের মুখে তাই বঙ্গ-বিজেপিতে প্রশ্ন উঠেছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে আছেন কি’না, এবং কলকাতা পুরভোটে বিজেপি-শিবিরের নেতৃত্ব তিনিই দেবেন কি’না, তা স্বচ্ছ করা হোক৷ শোভন যেহেতু দিল্লি গিয়ে দলে যোগ দিয়েছেন, তাই রাজ্য বিজেপি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কোর্টেই বল পাঠিয়েছে৷ সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটির এই দাবির মধ্যে অন্যায় কিছু দেখেনি দিল্লি৷ তাই এই প্রথমবার শোভন সম্পর্কে কড়া মনোভাবও প্রদর্শন করেছেন শীর্ষ নেতারা৷
দিন চারেক আগে, দিল্লি নেতৃত্বের তরফে শোভনকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, পুরভোট নিয়ে বিজেপির হয়ে এখনই ময়দানে না নামলে, তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলি নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে৷

শোভন, বিজেপি বা তৃণমূল, এই ইস্যুতে এখনও কেউই স্বচ্ছ নয়৷
শোভন এখনও বিজেপির ছাড়েননি, আবার তৃণমূলের বিধায়ক- কাউন্সিলর, সবই রয়েছেন৷ বিজেপি নেতৃত্ব এখনও মনে করে, কলকাতা পুরভোটে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লাগবে৷ গেরুয়া শিবিরের খবর, শোভনের তৃণমূলে যাওয়া আটকাতে গুছিয়ে মাঠে নেমেছে দল৷ তা সত্ত্বেও শোভন নিরুত্তর, উদাসীন বা তৃণমূল-ঘেঁষা থাকলে, তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলির “ফয়সালা’ দ্রুততার সঙ্গেই সেরে ফেলা হবে৷

Previous articleরাত পোহালেই নির্বাচন, তার আগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী রইলো রাজধানী দিল্লি
Next articleসেলিব্রিটি ব্র্যান্ড ভ্যালুতে আরও একবার সেরার মুকুট কোহলির