শিল্পের ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিউনের ভূমিকা বরাবরই প্রশ্নের মুখে। শ্রমিক স্বার্থ দেখতে গিয়ে অনেক সময়ই তারা শিল্পের ক্ষতি করে বলে অভিযোগে। শিল্প তালুক দুর্গাপুরে বসেই প্রশাসনিক সভা থেকেও দলের শ্রমিক সংগঠনকে ‘বাড়াবাড়ি’ না করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবিষয়ে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোলমাল থাকলেও কারখানা বন্ধ করা যাবে না। এবিষয় মুখ্যমন্ত্রী দু পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে।

দুর্গাপুরে অনেক কলকারখানা রয়েছে। শ্রমিক অসন্তোষে সেখানে বারবার উৎপাদন বন্ধ হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুরেরই একটি কারখানার উল্লেখ করে তিনি মলয় ঘটকের কাছে জানতে চান, তাঁরা এবিষয়ে কী ভাবছে। এই বিষয়ে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এরাজ্যে ছোট ও মাঝারি শিল্প থাকায় কর্মসংস্থানে সুবিধা হয়েছে। কিন্তু যদি শ্রমিক ছাঁটাই ও নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতা থাকে তাহলে তা বরদাস্ত করা হবে না। এই নিয়ে ৩দিন সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শ্রমমন্ত্রী, জেলাশাসক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের বৈঠক করে ওই সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

আরও পড়ুন-কাজে গাফিলতি বরদাস্ত নয়, কড়া প্রশাসক মমতা
