রাত পোহালেই শাহি-সভা, রাজ্য নেতারা এখনও ধন্দে জমায়েত নিয়ে

রাত পোহালেই CAA-র সমর্থনে শহিদ মিনারে অমিত শাহ, নাড্ডা-র সভা, কিন্তু এই সভার প্রচার থমকে রয়েছে৷ নেতারা ধন্দে, লাখ-লোকের ঘোষণা করা হয়েছে, তেমন জমায়েত হবে তো ?

ঝিমিয়ে থাকা দলকে পুরভোটে মাঠে নামাতে অমিত শাহের এই সভাকেই হাতিয়ার করেছে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু গেরুয়া নেতাদের কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে, সেভাবে দলের কর্মী-সমর্থকরাও এখনও মাঠেই নামেনি৷
অমিতের সভায় এক লক্ষ লোক হবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে বঙ্গ-বিজেপি৷ এই ঘোষনাই কার্যত কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ শহিদ মিনারের সভার ২৪ ঘন্টা আগেও তেমন সাড়া পাচ্ছেনা নেতারা৷
ময়দান ভরাতে দলের মূল সংগঠনের পাশাপাশি সব শাখা সংগঠনকে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। এই সভার প্রচারে এলাকায় এলাকায় দেওয়াল লেখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিলো। সভা নিয়ে দলের একাধিক প্রস্তুতি বৈঠকে রাজ্য নেতারা কর্মী-সমর্থকদের বলেছিলেন, পরীক্ষার জন্য মাইক প্রচার করা যাবে না। তাই দেওয়াল লেখায় জোর দিতে হবে৷ এই দেওয়াল লেখার মাধ্যমেই পুরভোটের প্রচার শুরুর পরিকল্পনা ছিলো রাজ্য কমিটির৷ অমিত শাহকে স্বাগত জানিয়ে দেওয়ালে লেখা হলেও, আদতে দেওয়াল দখলের কাজও সেরে রাখতে চেয়েছিলো বিজেপি।

কিন্তু এই কর্মসূচি তেমনভাবে সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে৷ এর কারন, এখনও দলের নতুন কমিটি ঘোষনা না হওয়া৷ প্রায় দেড়মাস হতে চলেছে দিলীপ ঘোষ ফের রাজ্য সভাপতি হয়েছেন, কিন্তু পুরভোটের মুখে দাঁড়িয়েও রাজ্য বা জেলা কমিটি গড়তে ব্যর্থ হচ্ছেন দিলীপবাবুরা৷ ফলে, জেলাস্তরের এবং রাজ্যস্তরের নেতারা কাজ করতে উৎসাহ হারাচ্ছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, ” এখনও জানিনা পদ পাবো কি’না, দলে পদ না পেলে শহিদ মিনার ভরানোর দায়িত্ব নিতে যাবো কেন? ভিড়ের ক্রিম খাবেন তো ওই দু-তিনজন নেতা৷ তাঁরাই এবার লোক আনুক”৷ এখনও কমিটি ঘোষনা না পারার মাশুল এভাবেই দিতে চলেছে বঙ্গ- বিজেপি৷ এই সহজ কথাটা না বুঝে অমিত শাহের সভা সফল করানো যে চেষ্টা নেতারা করছেন, তা যে কাজে লাগছেনা, সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে৷

দলীয় কর্মীদের বলা হয়েছিলো, পোষ্টার, দেওয়াল লিখতে দল কোনও টাকা দেবে না। নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে দেওয়াল লেখা, পোস্টার, ব্যানার লেখার দায়িত্ব কেউই নিতে চাননি৷ জেলার নেতাদের বক্তব্য, ”দল এখন সমৃদ্ধ, তাহলে পকেটের টাকা দিয়ে দল করবো কেন ? এসব সম্ভব নয়৷ ফেল কড়ি মাখ তেল।”

তবে এ সব জেনে এবং শুনে এখনও কিন্তু কনফিডেন্ট বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর কথায়, ‘‘অমিত শাহ, নাড্ডার সভার পরই সবাই চাঙ্গা হয়ে উঠবেন।” কিন্তু বঙ্গ-বিজেপির নেতারা এখনও ধরতেই পারছেন না, শহিদ মিনারে লোক কত হবে ? কারাই বা লোক আনবেন ?

আরও পড়ুন-স্বস্তির খবর! মার্চে ৩ দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট স্থগিত

Previous articleস্বস্তির খবর! মার্চে ৩ দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট স্থগিত
Next articleএবার সিএএ-এর সমর্থনে মিছিল করে গ্রেফতার সৌমিত্র-সুভাষ