দিল্লির হিংসা নিয়ে মঙ্গলবারও উত্তাল হয়ে উঠল লোকসভা। রাজ্যসভাতেও আলোচনা চেয়ে নোটিস বিরোধীদের। অধিবেশনের আগে সর্বদলের ডাক দেন স্পিকার ওম বিড়লা। ‘হিংসা বিধ্বস্ত এলাকায় সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠানোর প্রস্তাব। ২০০২-এ গুজরাটে পাঠানো হয় সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। ‘তেমনই প্রতিনিধি দল পাঠানো হোক দিল্লিতে’। স্পিকারের কাছে প্রস্তাব বিরোধী সাংসদদের।
সোমবারই সিএএ নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস সাংসদদের মধ্যে বিতণ্ডা শুরু হয়। ২ বিজেপি সাংসদকে নিগ্রহের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে ৪ কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে। এই প্রেক্ষাপটে গৌরব গগৈ, হিবি এডেন-সহ কংগ্রেসের ৪ সাংসদকে বরখাস্ত করার প্রস্তাব আনতে চেয়ে মঙ্গলবার লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে অনুমতি চাইবে বিজেপি। বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের ৪ প্রতিনিধি সংসদের ২৭৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছেন। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে দলীয় সাংসদের হেনস্থার অভিযোগে সরব হয়েছে কংগ্রেসও।
অন্য দিকে, দিল্লি-হিংসা নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা চেয়ে নোটিস কংগ্রেস-বামেদের। এনিয়ে পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা। অবস্থা সামাল দিতে অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। শেষপর্যন্ত সংসদের দুই সভাই দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতবি রাখেন স্পিকার।
ধাক্কাধাক্কি এবং উত্তেজনা ছড়াল ট্রেজারি বেঞ্চের সামনে। লোকসভা কক্ষে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ আনলেন কংগ্রেস সাংসদ রামাইয়া হরিদাস। তাঁর বক্তব্য, দলিত বলেই তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়েছে। স্লোগান লেখা কাগজ কুচিকুচি করে ছিঁড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে স্পিকারের টেবিলে। ‘কুরুক্ষেত্র’ সামলাতে দফায় দফায় মুলতুবি হল অধিবেশন। স্পিকার ওম বিড়লা জানালেন, আজকের ঘটনার জন্য তিনি ‘ব্যক্তিগত ভাবে’ আহত। সংসদের গরিমা এবং ঐতিহ্যের অবমাননা ঘটেছে। কী ভাবে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়, সাংসদেরা কথা বলে স্থির করুন।