Sunday, November 9, 2025

করোনা হামলায় এক ডজন কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

Date:

Share post:

করোনা হামলার স্বাভাবিক জের এসে পড়ল কলকাতা হাই কোর্টেও। রবিবার হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল একটি নোটিশ দিয়ে জানিয়েছেন, ১৭ মার্চ, মঙ্গলবার থেকে জরুরি মামলাগুলি ছাড়া অন্য মামলা তালিকায় রাখা হবে না। একইসঙ্গে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ। এই এক ডজন কড়া পদক্ষেপ হলো…

১. হাইকোর্টের সব বিল্ডিংয়ের প্রবেশ পথেই থাকবেন স্বাস্থ্য সহায়করা। তাঁরা থার্মাল গান দিয়ে সকলকে পরীক্ষা করবেন। বিচারপতি থেকে কোর্টের কর্মী, বিচারপ্রার্থী, সকলের তাঁরা পরীক্ষা করবেন। কারওর জ্বর ধরা পড়লেই তাঁকে আলাদা করে পরীক্ষা করা হবে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন ডাক্তাররা।

২. রেজিস্ট্রার জেনারেলের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে হাইকোর্টে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও থার্মাল গান চাওয়া হচ্ছে। রাজ্যের সব জেলা, শহরেও এই পরিষেবার দরকার।

৩. হাইকোর্টে কর্মীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অর্ধেক করে দিতে হবে। প্রয়োজনে রোটেশন পদ্ধতি চালু করতে হবে।

৪. নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাদী বা বিবাদী পক্ষের উপস্থিতি নিয়ে আদালত কঠোর মনোভাব দেখাবে না। কোর্টে সাধারণের প্রবেশের ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ আরোপ করা হোক।

৫. হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা বার অ্যাসোসিশনকে নিশ্চিত করতে হবে যেন কোর্ট চত্বরে অযথা ভিড় বা জমায়েত না হয়। মামলার কারণ ছাড়া কেউ যেন কোর্ট চত্বরেই না আসেন। আইনজীবীদের চেম্বারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

৬. আইনজীবীদের মামলা শেষ হওয়া মাত্রই বার রুম বন্ধ করে দিতে হবে।

৭. আইনজীবীরা প্রয়োজনে তাঁদের ক্লায়েন্টদের জানিয়ে দেবেন, আদালত নির্দেশ মা দিলে তাঁরা যেম আদালতে না আসেন।

৮. এই ধরণের আপৎকালীন পরিস্থিতি যতদিন বজায় থাকবে, ততদিন বিচারপ্রার্থীরা কোর্টে উপস্থিত না হলে কোনও নেতিবাচক সিদ্ধান্ত কোর্ট তাঁদের বিরুদ্ধে নেবে না।

৯. বিচার প্রক্রিয়া চলছে এমন ইউটিপি-দের ক্ষেত্রে সশরীরে কোর্টে উপস্থিত করার পরিবর্তে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

১০. হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব আদালতের নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হচ্ছে তাঁরা যেন আদালতের সব বিভাগে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখেন। কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ বাধ্যতামূলকভাবে তা ব্যবহার করে কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করবেন।

১১. ১৬ মার্চ থেকে বিচারবিভাগীয় ক্লাসগুলিও বাতিল করা হলো।

১২. যে সব কর্মীরা এই সময়ে আসবেন না, তাঁদের উপস্থিত হিসাবেই ধরা হবে। বিচারপতিরা তাঁদের কাজ শেষ করে দ্রুত আদালত চত্বর ছাড়বেন। কাজ শেষ হলে বিচারপতিরা তাঁদের অধঃস্তনদের কোর্টে আটকে রাখবেন না।

আরও পড়ুন-করোনার জেরে মুম্বইয়ে জারি ১৪৪ ধারা

spot_img

Related articles

এপিকের সঙ্গে মোবাইল লিঙ্ক না থাকলে অনলাইনে ফর্ম নয়! কমিশনের নিয়মে ক্ষোভে ফুঁসলেন কল্যাণ 

নির্বাচন কমিশনের নতুন নির্দেশিকা ঘিরে ফের রাজনৈতিক বিতর্ক। রবিবার শ্রীরামপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট রক্ষা শিবিরে অংশ...

ফাইনাল ম্যাচে শাহরুখের মন্ত্রেই ছাত্রীদের তাতিয়ে ছিলেন? অকপট স্মৃতিদের কোচ

ভারতীয় মহিলা দল বিশ্বকাপ জেতার পরই চক দে ইন্ডিয়ার কবীর খান হয়ে উঠেছেন অমল মুজুমদার(Amol Muzumdar)। কী বলে...

এসআইআর আতঙ্কে মৃতদের পরিবারের পাশে তৃণমূল: রাজ্যজুড়ে শোকাহত পরিবারগুলির ঘরে দলের জনপ্রতিনিধিরা 

এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যজুড়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। কোথাও আত্মহত্যা, কোথাও আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু— ভয় ছড়িয়ে পড়েছে গ্রাম...

বাংলাভাষায় ১০ কোটিও খরচ নয়! বাঙালিবিদ্বেষী বিজেপির রবীন্দ্র-বঙ্কিম ভাগে তোপ গণমঞ্চের

বিজেপি আদতে বাঙালি বিদ্বেষী, তা সাম্প্রতিক সময়ে বারবার প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণিত। সেই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে দেশ বাঁচাও...