Saturday, November 8, 2025

‘করোনা’র শেষ সময় চলে এসেছে, আশার কথা শোনালেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মাইকেল লেভিট

Date:

Share post:

“করোনা- ভাইরাসের শেষ সময় চলে এসেছে।আমাদের এখন করনীয়, এই মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলা৷ এই “সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেজারমেন্ট” গ্রহণ করা হলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমরা ক্রমেই ভালোর দিকে যাচ্ছি।”

করোনা-গ্রাস নিয়ে হাজারো আতঙ্কের কথার মাঝেই এই স্বস্তির খবর শোনালেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মাইকেল লেভিট৷
এই বিজ্ঞানীই গত ১ ফেব্রুয়ারি কার্যত ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন, “আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে চীনে করোনায় মৃতের হার কমে যাবে”। বলেছিলেন, “শুধু তাই নয়, মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই কমতে থাকবে”। লেভিটের এই ভবিষ্যদ্বাণী চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর পর ‘চায়না ডেইলি নিউজ’কে এই নোবেলজয়ী বলেছিলেন, “করোনাভাইরাস মহামারীর শেষপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে”৷ লেভিট তাঁর এই বক্তব্যের সমর্থনে চীনে করোনা- ভাইরাসে আক্রান্তের ক্রমহ্রাসমান সংখ্যাই উল্লেখ করেছেন।

এখন পর্যন্ত চীনে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ১৭১ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৭৭ জন। আগের তুলনায় ওদেশে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমেছে। চীনের সরকারি খবর,
সোমবার নতুন করে ৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। তবে এদের ৭৪ জনই বিদেশফেরত।

লেভিট এই সংক্রমণের শুরুতেই বলেছিলেন, “কোভিড-১৯-এ চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজারে গিয়ে ঠেকবে। এবং মারা যাবে ৩ হাজার ২৫০ জনের মতো।”
লেভিট যখন এই ভবিষ্যদ্বাণী করেন, তখন চিনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার প্রতিদিন ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে এবং মৃত্যুর সংখ্যাও কমতে থাকে। তাঁর বলা সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে মিলে যায়। মার্চ ১৬ পর্যন্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, চীনে তখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ২৯৮ জন। মারা যান ৩ হাজার ২৪৫ জন।

লেভিট বলেছেন, “করোনা নিয়ে মানুষ ভয় পাচ্ছে, মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে অনেক বেশি৷ এটা স্বাভাবিক৷ কিন্তু মোদ্দা কথা হচ্ছে, সংক্রমণের হার ‘স্লো’ হয়ে যাওয়ার অর্থ, এই মহামারী সমাপ্তির খুব কাছে এসে গিয়েছে।”
একই সঙ্গে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, মার্চ মাসের শেষে ভাইরাসটি চীন থেকে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লেভিট আরও দাবি করেছেন, বেশিরভাগ মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ প্রতিরোধের প্রাকৃতিক ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রথম দিন থেকেই গবেষকরা বলে আসছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাস আগামী কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর্যন্ত থেকে যেতে পারে। এমনকী অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে এই ভাইরাসে। সেখানে এই নোবেলজয়ীই একমাত্র ব্যতিক্রম যিনি বলছেন, এই ভাইরাসের শেষ সময় চলে এসেছে।
লেভিট বলেছেন, আমাদের এখন যা দরকার তা হলো এই মহামারিকে নিয়ন্ত্রণ করা। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার ব্যবস্থা বা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেজারমেন্ট গ্রহণ করা৷ তাহলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি বলেছেন, আমরা ক্রমেই ভালোর দিকে যাচ্ছি।

spot_img

Related articles

মতুয়া-ফায়দা লোটার চেষ্টা: অনশন মঞ্চে হঠাৎ হাজির বাম-কংগ্রেস!

বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতা করাই বাংলার বাম নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ। বিরোধিতার পর্যায়টা এক এক সময়ে...

জন্মদিনে চরম অসৌজন্য! অভিষেককে নিয়ে বিজেপির পোস্টে সরব নেটদুনিয়া

বাংলায় বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দল। বাম আমলে সিপিআইএম নেতা থেকে তৃণমূল বা কংগ্রেস নেতাদের...

আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা, অনুশীলনই বন্ধ রাখল মোহনবাগান

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মোহনবাগানের(Mohun Bagan) সিনিয়র দলের অনুশীলন। খবর অনুযায়ী, আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়...

জন্মদিনে মানুষের ভালবাসা মনে করিয়ে দেয় কর্তব্য: ভিড়ে মিশে গেলেন অভিষেক

সকাল হওয়ার অপেক্ষা নয়। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বাংলার বিপুল জনতা। জননেতা, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক...