অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বা পরিষেবার দোকান নির্দিষ্ট এবং ঘোষিত সময়ের আগে বন্ধ করা যাবে না। এক নির্দেশ জারি করে এ কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।

করোনা মোকাবিলায় লকডাউন চললেও তার আওতা থেকে কারা ছাড় পাচ্ছে, বার বার তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকার জানিয়েছে। তবুও নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই বহু দোকান ও প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা হচ্ছে৷ এর ফলে এসব দোকান যখন খোলা থাকছে, তখন সেখানে অস্বাভাবিক ভিড় বাড়ছে। এই পরিস্থিতি বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হলো নবান্নের তরফে। এই নির্দেশে স্বাক্ষর করেছে খোদ মুখ্যসচিব। নির্দেশটিতে বলা হয়েছে, “অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কেনাবেচা হয় যে সব দোকান বা প্রতিষ্ঠানে, সেগুলিকে সময়ের আগেই বন্ধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এর ফলে দোকানগুলিতে ভিড় জমছে, যা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধির পরিপন্থী। ওষুধের দোকান-সহ সব অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানকে স্বাভাবিক কাজের সময়ে খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’’ দোকান বা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত যে আইন রাজ্যে রয়েছে সেই আইন অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা হল দোকান খোলা রাখার স্বাভাবিক সময়। কিন্তু লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর থেকে এই সময়সীমা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ১২ ঘণ্টা তো দূরের কথা, অনেক এলাকাতেই ৫-৬ ঘণ্টাও খুলে রাখা হচ্ছে না অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান, অভিযোগ এমনই। মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য দোকান খোলা হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করার জন্য ক্রেতাদের ওই সময়ের মধ্যেই দোকানে হাজির হতে হচ্ছে। আর তার জেরে যে ভিড় জমছে, তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
