মঙ্গলবার রাতে মরকজ নিজামুদ্দিনে অজিত ডোভাল এর উপস্থিতি কিছু একটা সংকেত দিয়েছিল। মানুষ ভেবেছিল গোটা এলাকা জীবানুমুক্ত করার পরিকল্পনা চালাবে ডোভাল বাহিনী। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বে দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সিল করে দিল বড় এলাকা। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকালের মধ্যে পুরোপুরি খালি করে দিল মরকজ চত্বর। সেখানে যত জন ছিলেন, সকলকে বার করে নিয়ে গিয়ে আইসোলেশনে পাঠিয়ে দিল পুলিশ। মরকজ চত্বরে বেশ কিছু কাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বরকত নিজামুদ্দিনের শীর্ষ মৌলানাদের সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে যোগাযোগ করেন ডোভাল।তারাও ডোভালের পরিকল্পনায় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। যদিও এর আগে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চাননি তবলিগি জামাতের শীর্ষ নেতৃত্ব।মরকজ নিজামউদ্দিন চত্বরে পুলিশ বেশ কিছু কাঠামো এ দিন ভেঙে দিয়েছে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। ১২ থেকে ১৫ ই মার্চ নিজামুদ্দিনে এত বড় জমায়েত কীভাবে হল তা নিয়েও থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। যেখানে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই জমায়েত না করার বিষয়ে সতর্ক করতে শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন মরকজ থেকে যাঁদের বার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২১৬ জন বিদেশি নাগরিক।আরও প্রায় ৮০০ জন মরকজফেরত বিদেশি নাগরিক ছড়িয়ে পড়েছেন দেশজুড়ে।এইসব বিদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে ।কারণ তারা তাদের ভিসার আবেদনে পর্যটক পরিচয় দিয়েছিলেন। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ধর্ম প্রচারের জন্য ভারতে এলে ভিসার আবেদনে ধর্মপ্রচারক লিখতে হয়।তথ্য গোপন করে ভারতে আসার জন্য তারা কালো তালিকাভুক্ত হতে পারেন। যার জেরে ভবিষ্যতে আর তারা কোনদিনও ভারতে আসতে পারবেন না।
