Saturday, August 23, 2025

বিশেষ সম্প্রদায়ের তীর্থ যাত্রীদের দুটি ট্রেনে ফিরিয়েছে রাজ্য, বাকিরা কেন নয়? প্রশ্ন দিলীপের

Date:

Share post:

ভিন রাজ্যে আটকে থাকা বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যকে চিঠি পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এখন পরিস্থিতি এমন যে জল মাথার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। এতদিন স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিবের চিঠি আসত। একাধিকবার বিভিন্ন বিষয়ে চিঠি এসেছে। সেই চিঠির গুরুত্ব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে ছিল না। সেই চিঠির গুরুত্ব দেননি, উত্তরও দেননি রাজ্য সরকার। তাতে কোনও রেসপন্সও করেনি। তার ফলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে।”

এরপর দিলীপ ঘোষ বলেন, “অনেক রাজ্য তাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে চান। তাই কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছিলেন আপনারা ট্রেন চালান আমরা আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, রাজ্য সরকারের দায়িত্ব থাকবে কোথা থেকে কে আসবে না আসবে। আমরা ট্রেন চালাব। তাতে যা খরচ হবে কেন্দ্রীয় ৮৫% দেবে, বাকিটা রাজ্যকে দিতে হবে। শ্রমিকদের পয়সা দেওয়ার কথা কোথাও বলা হয়নি নেওয়াও হয়নি। কোথাও টিকিট বিক্রিও হচ্ছে না। রাজ্য সরকার টিকিট নিয়ে তাদের হাতে দিচ্ছে। এতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও সহযোগিতা করেনি। মাত্র দুটি ট্রেন চালিয়েছেন দুটি জায়গা থেকে। যেখানে কোনও শ্রমিক আসেনি। বিশেষ সম্প্রদায়ের তীর্থ যাত্রীদের নিয়ে আসার জন্য সেই ট্রেন চালিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রতিদিন ৬-৮ টি ট্রেন চলছে। শ্রমিকদের নিয়ে আসছে এক একটা রাজ্যে। যেখানে বিহারের শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরছেন তাদের বিহারের রাজ্য সরকার ট্রেনে করে ফিরিয়ে আনছেন। সেখানে এরাজ্যের শ্রমিকরা না আসতে পেরে মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তারা কষ্টের মধ্যে আছেন। সেখানে রাজ্য সরকারের নোডাল অফিসাররা ফোন ধরেন না। রাজ্য সরকার যোগাযোগ করেন না। এরাজ্যে যে হেল্প লাইন আছে, যারা নোডাল অফিসাররা আছেন তারাও ফোন ধরেন না। স্বাভাবিক ভাবে হতাশার মধ্যে আছেন। ভয়ের মধ্যে আছেন। দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন। মানুষ ক্ষুধার্ত। থাকার জায়গা নেই। তার সমাধান দরকার আছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাই ট্রেন চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার লাভ নিচ্ছে না”।

সুর চড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, “যারা ব্যবসার কারনে বাংলাদেশ যান। প্রায়ই যান। তারা আমাদেরই লোক। ট্রাক ড্রাইভাররা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। রান্না করে খাচ্ছেন। ঝড়বৃষ্টিতে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের ফিরিয়ে আনা কিসের দোষ। কাউকে আনব না। কথায় কথায় সব দোষ কেন্দ্রের ঘাড়ে চাপিয়ে দেবো, এটা চলবে না। বিভিন্ন রাজ্য তাদের শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনছেন। রাতারাতি লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে আনা সম্ভব নয়। কিন্তু সেই সমস্ত রাজ্যের শ্রমিকরা ভাবছেন, আজ না হয় কাল বাড়ি ফিরব।কিন্তু কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভাবছে না, সেই প্রশ্ন সবারই। স্বরাষ্ট্র দফতর রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তারা সহযোগিতা করতে রাজি আছি। রাজ্য কি সহযোগিতা নিতে ইচ্ছুক। প্রশ্ন তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষ।

spot_img

Related articles

বাংলা দখলে প্রধানমন্ত্রীর ‘হতাশার আর্তনাদ’! ভিডিও দেখিয়ে তোপ তৃণমূলের

বাংলার মানুষকে দিনের পর দিন বঞ্চিত রেখে বাঙালির কাছেই ভোট ভিক্ষা! বাঙালিকে একের পর এক রাজ্যে হেনস্থা করে...

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...