লকডাউন ভেঙে খোলা দোকান বন্ধ করতে গিয়ে খাস কলকাতায় বেদম মার খেল পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কড়েয়া থানার চমরু খানসামা লেনে। জনতার ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন 5 পুলিশ কর্মী। লাঠি-বাঁশ দিয়েও কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারা হয় বলে অভিযোগ। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। শনিবারেও এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, হামলায় জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে এখনও গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরেই মহম্মদ সামির নামে এক দুষ্কৃতী লকডাউন ভেঙে দোকান খুলতে এলাকার বাসিন্দাদের উস্কাচ্ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার ভোজালি নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ান সামির। সবাইকে দোকান খুলতে বলেন। যাঁরা লকডাউন ভাঙতে চাননি তাঁদের উল্টে সামির এবং তাঁর দলবল ভোজালি দেখিয়ে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশই ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছিলেন বলে দাবি। স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার চমরু খানসামা লেন লাগোয়া তিলজলা রোডের ঘাসবাগান এলাকায় যায় পুলিশ। ছিলেন থানার গুন্ডাদমন আধিকারিক ইন্তিখাব আলম, এক জন অ্যাসিস্টান্ট সাব ইনস্পেক্টর, দুই কনস্টেবল এবং থানার গাড়ির চালক এক হোমগার্ড।
খবর পেয়ে পালিয়ে যান সামির। পুলিশ তল্লাশি শুরু করতে গেলে বচসা শুরু হয় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে। তারপরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বেধড়ক মারা হয় পুলিশকর্মীদের। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি, মোবাইল। কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থলে যান কড়েয়া থানার ওসি, অতিরিক্ত ওসি এবং বাহিনী। শেষ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
