রাজ্যের আপত্তিতে সারাদেশে চালু হওয়ার তিনদিন পরে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাংলায় চালু হচ্ছে আন্তঃরাজ্য বিমান চলাচল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের মধ্যে এই উড়ানের জেরে যাতে ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তার জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী আছে সেই নির্দেশিকায়:

• বৃহস্পতিবার থেকে বিমানে যাঁরা রাজ্যে ঢুকবেন, তাঁরা যে গত দু’মাসের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হননি, সেই বিষয়ে একটি হলফনামা দিতে হবে।

• বিমানবন্দরে প্রত্যেক যাত্রীর স্ক্রিনিং হবে। সেখানে কারও করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলে তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না।

• বিমানে আসা যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা হবে। উপসর্গ না থাকলে বাড়িতেই ১৪ দিন নজরদারিতে থাকতে পারবেন।

• এই সময়ের মধ্যে যদি কোনও উপসর্গ দেখা দেয়, তবে সেই যাত্রীকে স্থানীয় মেডিক্যাল অফিসার অথবা রাজ্যের কল সেন্টারে ফোন করে জানাতে হবে। নম্বরগুলি হল: 1800 313 444 222/033-23412600,2357 3636/1083/1085
• বিমানবন্দরে কোনও যাত্রীর কোভিড ১৯ সংক্রমণের উপসর্গ মিললে, সেখান থেকেই লালারস পরীক্ষার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে

• কোনও যাত্রীর উপসর্গ যদি মারাত্মক হয়, তবে তাঁকে চিহ্নিত কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হবে

• বিমানবন্দরে নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে

• বিমানবন্দর চত্বর বারবার ডিসইনফেকশন করতে হবে

• বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক

• সামাজিক দূরত্ব রক্ষার জন্য বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত প্রচার করতে হবে

• বিমানবন্দর এবং বিমানের ভিতরে সব যাত্রীকে মাস্ক পরতে হবে।

• সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে হবে

• মেনে চলতে হবে হাত পরিষ্কার রাখার নিয়ম

রাজ্যে আমফান বিপর্যয়ের কারণে রাজ্য সরকার চেয়েছিল বিমান চলাচলে কয়েকটা দিন সময় দেওয়া হোক। সেই মতো অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক বাংলায় উড়ান শুরু তিন দিন পিছিয়ে দেয়। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে উড়ান পিছয় ত্রিপুরা ও অন্ধ্রপ্রদেশে। এরাজ্যে বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকে।
