বিশ্বযুদ্ধ ! চিনের মোকাবিলায় ভারতের পাশে আমেরিকা, এগোচ্ছে মার্কিন সেনা

চিনের হঠকারিতায় এবার কি বিশ্বযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী? গতিপ্রকৃতি সেদিকেই এগোচ্ছে!

সীমান্তে চিনের আগ্রাসী মনোভাবে ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে পরিস্থিতি৷ গোটা দুনিয়ার নজর এখন পূর্ব লাদাখ সীমান্তে৷ আর তার মাঝেই এই ইস্যুতে প্রথমবার মুখ খুলে মার্কিন প্রশাসন এমন মন্তব্য করেছে, যাতে উত্তপ্ত এই পরিস্থিতি এবার অগ্নিগর্ভ হওয়ার পথে৷

আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, “চিনের আগ্রাসনের জবাব দিতে ভারতের পাশে থাকবে আমেরিকা৷” মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও এ কথা জানানো মাত্রই ভারত-চিন সীমান্তের ঘটনা গুরুতর মাত্রা পেতে চলেছে৷

মার্কিন বিদেশসচিব বলেছেন, ” ভারত সীমান্তে চিনের পিপল’স লিবারেশন আর্মিকে ঠেকাতে আমরা মার্কিন সেনা নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ চিনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে৷ এই বাহিনীকে জার্মানি থেকে সরিয়ে চিনের দিকে মোতায়েন করা হচ্ছে”৷

ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে যোগ দিয়ে জোরালো ভাষায় মার্কিন বিদেশসচিব বলেছেন, “চিন একের পর এক অন্যায় করে চলেছে৷
ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপিন্সের মতো এশীয় দেশগুলির উপর চিন যেভাবে রণংদেহি মনোভাব নিয়েছে তা যথেষ্টই উদ্বেগের।” মার্কিন বিদেশসচিব বলেছেন, ভারত-সহ গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের আগ্রাসনের দিকে নজর রাখছে ট্রাম্প প্রশাসন৷ সে কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমানো হচ্ছে। জার্মানির দিকে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমানোর কথা জানিয়ে পম্পেও বলেছেন, বর্তমানে যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানেই মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। সেকারনেই এবারের লক্ষ্য ভারত-চিন সীমান্ত৷”

চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনা করে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও বলেছেন, “চিনের কমিউনিস্ট পার্টির পদক্ষেপ শুধু ভারতের জন্যই হুমকি নয়। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্সও আজ চিনের হুমকির মুখে৷ দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের তত্‍‌পরতা নিয়েও ক্ষুব্ধ আমেরিকা। পম্পেওর কথায়, বর্তমান সময়ের এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতেই মার্কিন সেনাকে জার্মানি থেকে সেরিয়ে আনা হচ্ছে।

তিনি স্পষ্টভাবেই বলেছেন, “আমরা চিনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি-র মোকাবিলা করার জন্যে যথাযথ ভাবে মার্কিন সেনা নিয়োগ করব। আমরা মনে করি, এটা আমাদের সময়ের চ্যালেঞ্জ ।”

গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। ওই সংঘর্ষের সময় জখম হন আরও ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ানও।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে, চিন যেভাবে এই অঞ্চলে আরও বেশি সেনা মোতায়েন করছে, তাতে দু’দেশের মধ্যে শান্তিরক্ষায় ৬ জুন যে চুক্তি করা হয়েছিল তা লঙ্ঘিত হয়েছে। দুই দেশের মেজর জেনারেল স্তরে হওয়া ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছিল যে LAC-র কাছে থাকা চিনা ছাউনিটি সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তা হয়নি।

Previous articleনবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
Next articleবিশ্ব মাদক বিরোধী দিবসে যে বার্তা দিলো লালবাজার