স্কুলের সাফাইকর্মী মা, মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে সেই স্কুলের সেরা ছেলে

দিনের পর দিন হাঁড়ি চড়েনি। রাত জেগে সাফল্যের সিঁড়িতে ওঠার লড়াই চালিয়েছে সে। ইচ্ছাশক্তির জন্য কোনও প্রতিকূলতাই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মা স্কুলের সাফাই কর্মী। সেই স্কুলেই সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করল সইদুল।

স্বামীর মৃত্যুর পর পেট চালাতে স্কুলে সাফাইকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন মাসুরা বিবি। ছোট ছেলেকে সঙ্গে করেই কাজে যেতেন তিনি। অন্য পড়ুয়াদের দেখে লেখাপড়ার করার ইচ্ছা হয় সইদুলের। স্কুলের শিক্ষকদের উদ্যোগে ভর্তি হয়েছে সে। সেই ছেলেই প্রমাণ করল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করা সম্ভব। মাধ্যমিকে ৫৯৯ নম্বর পেয়ে সইদুল আজ গ্রাম ও স্কুলের গর্ব ।

উলুবেড়িয়া হীরাগঞ্জে একচিলতে ভাঙাচোরা ঘরে মা ও তিন ভাইকে নিয়ে বাস সইদুলের। বড় দাদা জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী। দুবেলা দুমুঠো জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়। স্থানীয় স্কুলে সাফাইকর্মী হিসাবে কাজ করে মাসে ৮০০ টাকা আয় করেন সইদুলের মা। সারাদিন স্কুলের কাজের পর বাড়ি ফিরে করেন জরির কাজ। এই অবস্থায় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্কুলের শিক্ষকরা, মেধাবী ছাত্রকে আলাদা করে পড়িয়েছেন তাঁরা। কখনও আবার বই খাতা পেন কিনে দিয়েছেন। মাসুরা বিবি বলেন, “ভাবতেও পারিনি ছেলে এত ভালো রেজাল্ট করবে। আরও লেখাপড়া করতে চায়। কেউ সাহায্যের হাত বাড়ালে ছেলেটা আরও লেখাপড়া করতে পারে।

Previous articleইস্টবেঙ্গলে লগ্নিতে আসতে পারে প্রসূনের USEL?
Next articleঐতিহাসিক প্রাপ্তি : কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ত্রিপুরা যাচ্ছে জাহাজ