মহামারি ও ভোট, পিছিয়ে যাচ্ছে সিপিএমের সর্বস্তরের সম্মেলন

মহামারি এবং কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন৷ এই পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকাল পিছিয়ে যাচ্ছে সিপিএমের পার্টি কংগ্রেস-সহ গোটা সম্মেলন পর্ব। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কার্যত এমনই জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

সিপিএমের দু’দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে শনি ও রবিবার৷ এই বৈঠকে গুরুত্ব দিয়েই দলের সম্মেলনে প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে৷ শেষ দিনে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, “বিভিন্ন রাজ্যে দলের শাখা ও লোকাল কমিটি স্তরে সম্মেলন হওয়ার কথা৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্মেলন করা এখন সম্ভব নয়। তাই শাখা ও লোকাল কমিটি স্তরের সম্মেলন আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে৷” প্রতি ৩ বছর অন্তর সিপিএমের সম্মেলন প্রক্রিয়া চলে৷ নিচু তলা থেকে শুরু হয়ে রাজ্য সম্মেলন এবং পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। শাখা ও লোকাল কমিটির সম্মেলন সময়মতো না হলে গোটা নির্বাচন পর্বই পিছিয়ে যাবে। আগামী বছর যে সময়ে পার্টি কংগ্রেস হওয়ার কথা, তখন বাংলা এবং কেরলের বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে সম্মেলন করা সম্ভব নয়৷ সে কারনেই পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব। আগামী মার্চ মাসে দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এপ্রিলে হওয়ার কথা পার্টি কংগ্রেস৷ কিন্তু ওই সময়েই একাধিক রাজ্যে ভোটের দামামা বেজে যাবে৷ ভোট হওয়ার কথা পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে। এই দুই রাজ্যের ভোটকে সিপিএম যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। দলীয় সূত্রে খবর, ঠিক সময়ে শাখা ও লোকাল স্তরে সম্মেলনের নির্ঘন্ট তৈরি করেছিলো আলিমুদ্দিন৷ কিন্তু মহামারি জন্য পরিস্থিতির বদলে গিয়েছে৷ এই অবস্থায় স্থানীয় স্তরে সম্মেলন করা অসম্ভব বলেই মনে করেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। আর স্থানীয় সম্মেলন করা না গেলে উঁচুতলার সম্মেলনও আপাতত স্থগিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। দলীয়
সম্মেলন কবে থেকে শুরু করা যাবে, তার সময়সূচি ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পলিটব্যুরোকে৷ তবে বিধানসভা ভোট শেষ না হলে সম্মেলনের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে ৷

এদিকে, মহামারি ও আমফান পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের ছাত্র-যুবদের কাজে সন্তুষ্ট আলিমুদ্দিন। দলের গড় বয়স কমানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চলছে৷ এবারের সম্মেলনে দলের ‘যুবশক্তি’র হাতে নেতৃত্বের বড় অংশ তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিলো আলিমুদ্দিনের। বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে এই পর্বটি সেরে ফেলতে পারলে অনেকটাই সুবিধা পাওয়া যেত বলে মনে করে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সেই কাজ থমকে দিয়েছে৷
উল্লেখ্য, এবারের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ছিল অনলাইন।

Previous articleআবার বাড়ল কলকাতার কন্টেনমেন্ট জোন
Next articleবড়দেবীর পুজোর সূচনা ময়না কাঠের পুজোয়