পূর্ব লাদাখে সংঘাতের পরিস্থিতি অব্যাহত। তারমধ্যেই আগ্রাসী চিনের নজর উত্তর পূর্ব ভারতের অরুণাচলপ্রদেশে। গায়ে পড়ে উস্কানি দিতে এবার বড় রকমের ছক কষেছে চিন। সেজন্য এবার তাদের অস্ত্র অপহরণ। অরুণাচলের উত্তর সুবাসিরি জেলার পাঁচ গ্রামবাসীকে তুলে নিয়ে গেল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির জওয়ানরা। মাছ ধরতে যাওয়ার পথে এদের অপহরণ করে লাল ফৌজ। অপহৃত হওয়া পাঁচ ভারতীয় হলেন তনু বাকর, প্রসৎ রিংলিং, গারু দিরি, ডংতু এবিয়া, তোচ সিংকম। অরুণাচলের উত্তর সুবানসিরি জেলার সেরা সেভেন এলাকা থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয় বলে খবর। শনিবার রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক নিনং এরিং প্রথম এই ঘটনাটি নিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি টুইট করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। চিনা সেনার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি তোলেন কংগ্রেস বিধায়ক নিনং এরিং। শনিবার সকাল থেকেই তাঁর এই অভিযোগ ঘিরে তৈরি হয়েছে তুমুল চাঞ্চল্য। কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, নিত্য নতুন বজ্জাতি শুরু করেছে চিন। তাদের অনুপ্রবেশ নীতি ও অন্য দেশ দখল করার নীতির অংশ হিসাবেই এক একসময় এক একরকম প্ররোচনা তৈরির পথে হাঁটছে তারা। লাদাখ এবং ডোকলামের কায়দাতেই অরুণাচলে অনুপ্রবেশের পথে হাঁটছে তারা। এটা এখন প্রমাণিত যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলএসি মানতে চাইছে না তারা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অগ্রাহ্য করে চিনা ফৌজ ভিতরে ঢুকে পড়ছে। অরুণাচলে এরকম ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটল বলে জানান বিধায়ক নিনং এরিং। পশ্চিম পাসিঘাটের বিধায়ক সাম্প্রতিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, চিনের বিরুদ্ধে আরও সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ যে কোনও ছুঁতোয় অন্য দেশের এলাকা দখল ও অনুপ্রবেশ ওদের রাষ্ট্রীয় নীতি। চিনের আগ্রাসী অনুপ্রবেশ রুখতে কঠোর মনোভাব নিতে হবে ভারত সরকার ও অরুণাচলপ্রদেশ সরকারকে।

এদিকে অনুপ্রবেশের ছক কষে স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণের অভিযোগ ওঠার পর স্বভাবতই চিনের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষ ও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। লাদাখ সীমান্তে একদিকে যখন বেআইনি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে চিনের লাল ফৌজ, সেই একই সময় পরিকল্পনা করে সীমান্তঘেঁষা অরুণাচলপ্রদেশে তাদের বিরুদ্ধে এই বদমায়েশির অভিযোগ ওঠার পর পরিস্থিতি যে আরও ঘোরালো হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন : অরুণাচলপ্রদেশ থেকে পাঁচ ভারতীয়কে অপহরণ করেছে চিনা সেনা!
