Tuesday, August 26, 2025

ভারতীয়-মার্কিনিরা ডোবাতে পারেন ট্রাম্পকে, সমীক্ষায় বাইডেনের পক্ষে বিপুল সমর্থন

Date:

Share post:

নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ঠিক তার আগে প্রকাশিত হল ইন্ডিয়ান আমেরিকান অ্যাটিটিউড সার্ভে রিপোর্ট। যে রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম অভিবাসীরা ডুবিয়ে দিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সমীক্ষায় ইঙ্গিত, ভারতীয় মার্কিনিরা এবার দলে দলে ভোট দেবেন ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে।

ঠিক কী বলেছে সমীক্ষা রিপোর্ট? দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৭২ শতাংশ ভারতীয়-মার্কিনি ভোটার তাঁদের সমর্থন দিতে পারেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডনের পক্ষে। আর মাত্র ২২ শতাংশ ভোট পেতে পারেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটের ৯৩৬ জনের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল এই সংস্থা। তার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তবে, সংস্থাটি এও জানিয়েছে, গত ১ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা এই সমীক্ষা চালিয়েছে। তাদের বক্তব্য, ভোটের সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে সমর্থনের শতাংশে পরিবর্তন হতে পারে। তবে এবার যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয়-মার্কিন নাগরিক ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন এ ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই। তবে সমীক্ষার বিস্তারিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতীয়-মার্কিনিদের কাছে দু’দেশের সম্পর্কের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে। ট্রাম্পকে পছন্দ না করলেও শুধু মাত্র তাঁকে রুখে দেওয়ার জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট হোক চান না তাঁরা। কারণ ইতিমধ্যেই বহুবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘গুড ফ্রেন্ড’, ‘গ্রেট লিডার’ বলে অভিহিত করেছেন বর্তমান বর্তমান প্রেসিডেন্ট। চিন ও পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতের পাশে থেকেছেন ও সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। গত বছর হিউস্টনে ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কার্যত ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘অব কি বার ট্রাম্প সরকার।’ একইভাবে এবছরের ফেব্রুয়ারিতে মোতেরা স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠান করেও ভারতীয়-মার্কিনিদের সামনে দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বার্তা দেওয়া হয়েছিল। এখন এসবের প্রভাব ট্রাম্পের পক্ষে কতটা কী পড়ে দেখতে হবে। আবার একইসঙ্গে মোদি-ট্রাম্প বন্ধুত্বের পাশাপাশি সমীক্ষা রিপোর্টে মানবাধিকারের প্রশ্নটিও প্রাধান্য পেয়েছে। আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলন ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ প্রসঙ্গে অনেকেই মোদি জমানায় ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়ার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচক মণ্ডলীতে অভিবাসী হিসাবে ভারতীয়রা দ্বিতীয় বৃহত্তম। ফলে তাঁদের মতামত ভোটে বড় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা যেতে পারে। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই বলে রেখেছেন, আমি যদি হারি তাহলে ধরে নিতে হবে নির্বাচনে বড় জোচ্চুরি হয়েছে।

 

spot_img

Related articles

১৯ হাজার কোটি ব্যয়ে ৯১ কোটি শ্রম দিবস

কেন্দ্র বঞ্চনা করে। বাংলা করে উন্নয়ন। একশো দিনের কাজে বাংলার বকেয়া দেয়নি কেন্দ্র। তারপরই কেন্দ্রের তোয়াক্কা না করে...

বিহার-ভোটেও ‘খেলা হবে’: বাংলার স্লোগান এখন ভারতজুড়ে

শেষ বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের মূল স্লোগান ছিল 'খেলা হবে' (Khela hobe)। প্রতিটি নির্বাচনী জনসভায় তৃণমূল নেতাদের এই স্লোগান...

ধান উৎপাদনে দেশের সেরা বাংলা: বর্ধমানে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

ধান উৎপাদনে বাংলা(Bangla) এবার সারা ভারতবর্ষে প্রথম। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক সভা থেকে এই কথা জানিয়ে বর্ধমান জেলাকে...

ক্রকসের জুতোর ম্যাজিক কী? কেন প্রায় সবার পায়ে? কেন দাম বেশি?

'ক্রকস' এখন পায়ে পায়ে। সবচেয়ে হালকা, আরামদায়ক এবং বায়ু চলাচলের সুবিধা রয়েছে যা পায়ের জন্য অত্যন্ত ভালো। ক্রকস...