পুজোর ভাসানে জলদূষণ রুখতে কড়া পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ

এবছর, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে করোনা আবহে দুর্গাপুজো হচ্ছে। এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা, ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার (এনএমসিজি)র মেনে পুজোর ভাসানের জন্য জোরদার পদক্ষেপ করেছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

আরও পড়ুন : কালীঘাটে গিয়ে এবার আর বিজয়া নয়

ভাসানের দূষণ এড়াতে চলতি বছরে নতুন পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। বুধবার এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র ও সদস্য সচিব রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, লেক টাউনের দেবীঘাট ও দমদম পার্কের ৪ নম্বর ট্যাঙ্কে এই পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজোর পাশাপাশি লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোর ভাসান এবং ছট পর্যন্ত এই ব্যবস্থা থাকবে।

পর্ষদের চেয়ারম্যান আরও বলেন, লেকটাউন এবং দমদম পার্কের দু’টি পুকুরের ঘাট ঘিরে এমন ভাবে সিন্থেটিক লাইনার লাগানো হবে, যাতে ভাসান-বর্জ্য জলে না পড়ে। প্রতিমা বিসর্জনের পরপরই সেই আবর্জনা সরিয়ে দেওয়া হবে।’ পর্ষদ সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতা ও উত্তর শহরতলির কয়েকশো পুজোর প্রতিমা ওই দু’টি পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হতে পারে। পর্ষদের এক কর্তার বক্তব্য, ‘আশা করা যায়, এর পর কলকাতা ও রাজ্যের অন্যত্রও এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’

আরও পড়ুন : গঙ্গার বদলে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে পুকুরে: দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ

প্রতি বছর, নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এমন ভাবেই ভাসানের বন্দোবস্ত করে। এ ক্ষেত্রে সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করা হচ্ছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান জানান, বিসর্জনের দূষণ এড়াতে পুজোর ফুল, পাতা নদীতে পড়া আটকানোর ব্যবস্থা করা-সহ কী কী নিয়ম মানতে হবে, তা নিয়ে এনএমসিজি-র নির্দেশিকা রয়েছে। তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার জন্য ইতিমধ্যেই সব জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

এর পাশাপাশি, পুজোর সময়ে যে কোনও রকম পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য বুধবারই চালু হয়েছে পর্ষদের কন্ট্রোল রুম। নবমী অর্থাৎ রবিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পর্ষদের কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর হল ১৮০০-৩৪৫-৩৩৯০। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পর্ষদের তরফে বিশেষ দল গড়া হয়েছে।

Previous articleপ্যান্ডেল হপিং ? শেষ ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় রেকর্ড সংক্রমণ, ৮৯৬ জন আক্রান্ত
Next article‘দুর্বল’ চেন্নাইকে হারিয়ে ফের লীগের শীর্ষে মুম্বই