প্রয়াত হলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই প্যাটেল। গত মাসে শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল তাঁর। যদিও উপসর্গহীন ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন গুজরাট বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতমাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তাঁর মৃত্যুর কারণ কোনওভাবেই করোনা নয়। এদিন হাসপাতাল প্রশাসনের তরফে ডক্টর অক্ষয় কিলেদার জানান, এদিন সম্পূর্ণ অচেতন অবস্থায় অনেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় আমরা অনেক চেষ্টা করেও ওনার সংজ্ঞা ফেরাতে পারিনি। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই এই মৃত্যু। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই কেশুভাই প্যাটেল। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নানা বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই শোকবিহ্বল মোদি এক দীর্ঘ টুইট করেন।


Our beloved and respected Keshubhai has passed away…I am deeply pained and saddened. He was an outstanding leader who cared for every section of society. His life was devoted towards the progress of Gujarat and the empowerment of every Gujarati. pic.twitter.com/pmahHWetIX
— Narendra Modi (@narendramodi) October 29, 2020
আরও পড়ুন: সরছেন? এসব গুজব শুনে অভ্যস্ত, সহাস্যে বললেন দিলীপ

যেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার অত্যন্ত প্রিয় শ্রদ্ধেয় কেশুভাই প্রয়াত হয়েছেন। আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি এমন একজন নেতা যিনি সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের কথা ভাবতেন। নিজের গোটা জীবন তিনি গুজরাটের উন্নয়ন ও গুজরাটের মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য ব্যয় করেছেন। দেশের জরুরি অবস্থার সময় সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছিলেন ইনি। গুজরাটের প্রত্যেকটি প্রান্তে ঘুরে জনসংঘ বিজেপির শক্তি বাড়াতে তাঁর অসামান্য ভূমিকা ছিল।’ এর পাশাপাশি কৃষকদের কল্যাণে কেশুভাইয়ের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন নরেন্দ্র মোদি। বলেন, ‘কৃষকদের কল্যাণের বিষয়টি তিনি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ভাবতেন। বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত পদেই তিনি কৃষকদের জন্য কল্যাণমূলক নানান কাজ করে গিয়েছেন।’

