“ওরা নিরামিষভোজী, বাঙালি মাছ-ভাত খায় বলেই বিদ্বেষ?” বিজেপিকে চাঁচাছোলা আক্রমণ ব্রাত্যর

“বিজেপির এতো বাঙালি বিদ্বেষ কেন? বাঙালি মাছ-মাংস খায় আর ওরা নিরামিষভোজী বলে এতো রাগ? ওরা বাংলায় এসে মাছ-মাংস নিষিদ্ধ করতে চায়? একটা বাঙালিকে ওরা বিহার ভোটে কেন পর্যবেক্ষক করলো না?” Andবিজেপির বাঙালি বিদ্বেষ ও বহিরাগত ইস্যু নিয়ে আজ, মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

ব্রাত্যর দাবি, বিজেপি “বহিরাগত” ইস্যুকে গোলমাল পাকিয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা করছে। এখানে বহিরাগত বলতে তাঁদেরকেই বলা হয়েছে, যাঁদের সঙ্গে বাংলার কোনও যোগাযোগ নেই। যাঁরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেন না। যাঁরা বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি জানেন না। যাঁরা রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থানের ভুল ব্যাখ্যা করেন। যাঁরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙেন। তাঁদের কথাই বলা হয়েছে। বাঙালি মানে শুধু বাঙালি নয়, এই বাংলার প্রতিটি নাগরিক বাঙালি। যাঁরা বাংলায় কথা বলতে পারেন। বাঙালির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছেন বাঙালির থেকেও বড় বাঙালি। উদাহরণ প্রসঙ্গে তিনি প্রয়াত কিংবদন্তি কংগ্রেস বিধায়ক জ্ঞান সিং সোহান পাল কিংবা গোয়েনকা, বিড়লাদের মতো মতো আবাঙালিদের উদাহরণও টেনে আনেন।

ব্রাত্য বসু আরও বলেন, কৃষক আন্দোলন ধীরে ধীরে মোদি সরকারের গলার ফাঁস হয়ে উঠছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গে সেভাবে কোনও কৃষক আন্দোলন নেই। কারণ, কেন্দ্রের কালা বিল থেকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের ইতিমধ্যেই সুরক্ষিত করে রেখেছেন। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কৃষকরা একর প্রতি ৫ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। রাজ্যের সব কৃষক পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন। কেন্দ্রের প্রকল্পে ছোট কৃষকদের জায়গা নেই। অন্যদিকে রাজ্যের প্রকল্পে ছোট চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন।

এছাড়াও ব্রাত্য বলেন, “বিজেপির কথায় অশান্তির আগুন ছড়াচ্ছে। বিজেপি কুৎসা করছে, আর আমরা কাজ করছি।”

বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছে, পুরসভা ভোটে যেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। কারণ, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এ প্রসঙ্গে ব্রাত্যর স্পষ্ট উত্তর, “আমরা পুরসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আমরা সারা বছর ধরে কাজ করি। আমরা নেতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই।”

আরও পড়ুন- শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে এ কী বললেন দিলীপ ঘোষ!

 

Previous articleশুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে এ কী বললেন দিলীপ ঘোষ!
Next articleবিভাজনের রাজনীতি করা বিজেপিই আসলে টুকরে টুকরে গ্যাং, তোপ আকালি নেতার