কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন তিনি৷ এর ঠিক ১০ দিন পর মৃত্যু হলো তাঁর। ঘটনাটি ভোপালের৷ মৃতের নাম দীপক মারাভি (Deepak Maravi)৷ মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার এই ঘটনা স্বীকার করলেও বলেছে, ওই ব্যক্তি বিষক্রিয়ার কারণে মারা গিয়েছেন।

আরও পড়ুন : চাল ভিক্ষা করে কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ নাড্ডার
সূত্রের খবর, গত ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ ভোপালের (Bhopal) একটি বেসরকারি হাসপাতালে হওয়া কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন ৪২ বছরের দীপক। এরপর গত ২১ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ও কোভ্যাক্সিনের নির্মাতা ভারত বায়োটেককে জানায় দীপকের পরিবার। ময়নাতদন্তের পরে মধ্যপ্রদেশ মেডিকো লিগাল ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা অশোক শর্মা দাবি করেছেন, চিকিৎসকরা মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে বিষক্রিয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ করছেন।

এদিকে এই ঘটনার পর মানুষের মনে কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় বিপাকে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। ঘটনাটিকে ‘স্পর্শকাতর’ চিহ্নিত করে ভ্যাকসিন সম্পর্কে কোনও গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (shivraj singh chouhan)৷ রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, “মৃতদেহের ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমি সবার কাছে অনুরোধ করব স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিয়ে কোনও গুজব না ছড়ানো হয়। কারণ গুজব রটলে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ ব্যাহত হবে।” মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি যদি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হত তা ২৪ ঘণ্টা বা ২-৩ দিনেই বোঝা যেত। এত দিন লাগত না।”
