ডুয়ার্সের আদিবাসী সম্প্রদায়ের গণবিবাহের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তাঁদের নাচের তালে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। মুখোশ পরে নৃত্যশিল্পীদের হাত ধরেই মাদলের তালে তালে নাচলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটায় মুখ্যমন্ত্রীর নাচের সেই ভিডিও মুহুর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ৪৫ সেকেন্ডের সেই ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী সাঁওতালি নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে ছন্দে ছন্দে পা মিলিয়ে চলেছেন।

সব ঠিক থাকলে আগামী সাত দিনের মধ্যেই কোচবিহার জেলা থেকে বিজেপির রথযাত্রার সূচনা হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা জে পি নাড্ডা, অমিত শাহের উপস্থিত থাকতে পারেন। তার আগে কোচবিহার লাগোয়া ডুয়ার্সে গিয়ে চা বাগান ও লাগোয়া এলাকার আদিবাসীদের কাছে টেনে নিলেন মমতা।


এদিন রূপশ্রী প্রকল্পের আওতায় ওই গণবিবাহের আয়োজন হয়। প্রায় ৪৫২ জন আদিবাসী জম্পতি গণবিবাহে আবদ্ধ হন। ফালাকাটার মিল রোডের ওই গণবিবাহ উপলক্ষ্যে নবদম্পতিদের উপহার দেওয়া হয়। খাবারের আয়োজনও ছিল পর্যাপ্ত। আর আগে মুখ্যমন্ত্রী মালদার গাজলে আদিবাসীদের বিয়েতে হাজির ছিলেন।
শুধু গণবিবাহ নয়, চা বাগানের শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের সমস্যা হল আবাসন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করেন চা সুন্দরী প্রকল্পের। সেই প্রকল্পে ঘর বানিয়ে দেবে সরকারই। এবারের সফরে ফালাকাটায় ৩৬০০ উপভোক্তার হাতে তুলে দেওয়া হয় অ্যালটমেন্ট লেটার। ওই শ্রমিকদের বাড়ি আবাসন দফতর বানিয়ে দেবে। বাড়ি পিছু খরচ সাড়ে ৫ লাখ টাকা। মোট বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। খুব দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সেই বাড়ির নথি হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ফলে, চা বলয়ের শ্রমিক মহলেও মুখ্যমন্ত্রীর নামে বারেবারে জয়ধ্বনি উঠেছে। ফলে, গত লোকসভা ভোটের চা বলয়ের বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী উত্তরের তৃণমূল।


আরও পড়ুন- নিজের কেন্দ্র থেকেই লড়তে চান শোভন, বিশেষ বন্ধুকে বেহালার রূপকার বললেন বৈশাখী
