ট্রাম্পকে সরিয়ে বিপুল জয়ের সঙ্গে আমেরিকার মসনদে বসে আছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন(Joe Biden)। আমেরিকার নতুন এই রাস্ট্রপতি ক্ষমতায় এসে এক এক নতুন আমেরিকার(America) ডাক দিয়েছেন। বাইডেন রাষ্ট্রপতি পদে বসার পর প্রশাসনিক কর্তা হিসেবে ক্ষমতায় বসিয়েছেন একের পর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে। সেই তালিকায় এবার নবতম সংযোজন বাঁকুড়ার সোনামুখী গ্রামের সোহিনী চ্যাটার্জী(Sohini Chatterjee)। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস(white House)। যা নিশ্চিতভাবে ভারত এবং বাঁকুড়ার জন্য গৌরবের।

জানা গেছে সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত দের তালিকা ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন সেই তালিকাতেই রয়েছে সোহিনীর নাম। তিনি সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার নিযুক্ত হয়েছেন। বিশ্বের উন্নয়ন, সংঘর্ষ এবং গণহত্যা– এই তিন বিষয় নিয়েই মূলত কাজ করেন সোহিনী। কিন্তু কে এই সোহিনী? জানা যায় ওড়িশার রাউরকেল্লায় জন্ম সোহিনী চ্যাটার্জির। বাবা স্বদেশ চ্যাটার্জি এবং মা মঞ্জুশ্রী চ্যাটার্জি। দুজনেরই জন্মস্থান বাঁকুড়ার সোনামুখী। তবে কর্মসূত্রে ওড়িশাতে থাকতে হতো তাদের। ১৯৭৮ সালে সপরিবারে আমেরিকা যাত্রা করেন তারা। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রয়েছে স্বদেশ চ্যাটার্জির। সেজন্য ২০০১ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মান দেয়। ২০০৮ সালে ইন্দো–মার্কিন পরমাণু চুক্তি সই হয়। সেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন সোনামুখীর স্বদেশ চ্যাটার্জী।

আরও পড়ুন:হিন্দুস্তান এ্যারোনেটিক্স লিমিটেডের নয়া প্ল্যান্টের সূচনা করলেন রাজনাথ সিং

অন্যদিকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করা মঞ্জুশ্রী চ্যাটার্জী আমেরিকায় একজন মনস্তত্ত্ববিদ। পাশাপাশি সোহিনী কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ অ্যাডভানসড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন সোহিনী। এর আগে ওবামা প্রশাসনেও কাজ করেছেন সোহিনী। ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তিনি নীতি উপদেষ্টা (আন্তর্জাতিক উন্নয়ন) ছিলেন।
