ভোটের মুখে আরও একবার জোর কদমে সারদাকাণ্ডের তদন্তের জাল গোটাতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি(ED)। চলতি মাসে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুবার কুণাল ঘোষকে তলব করেছে ইডি। ডাকা হয়েছে শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ও তৃণমূল(TMC) বিধায়ক সমীর চক্রবর্তীকেও। তদন্তকারীদের ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার ইডি অফিসে হাজিরা দেন সমীর চক্রবর্তী(Samir Chakraborty)
এদিন ইডি অফিসে হাজিরা দেওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সমীর চক্রবর্তী। সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এর আগেও ইডির তরফে আমাকে ডাকা হয়েছে। তখন একাধিক কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিল আমার কাছে। সেসব আমি দিয়েছিলাম।’ পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ‘আগে যে কাগজ আমার কাছে চাওয়া হয়েছিল তা কলকাতা হাইকোর্টের একটি অর্ডার ছিল। মহামান্য আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে আমি ‘চ্যানেল টেন’ সংবাদমাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। সেই টাকার পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। এটা ছিল আমার নিজের টাকা। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৪ সালের মে মাস পর্যন্ত। তার কোর্টের কপি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সবটাই দিয়েছিলাম। আরো কিছু কাগজ ওনারা চেয়েছেন সেগুলো আমি নিয়ে এসেছি।’
আরও পড়ুন:‘পদ্ম গোখরা, কাকে ছোবল মারতে গিয়ে কাকে মারে, কে জানে!’ মিঠুনকে কটাক্ষ তসলিমার
পাশাপাশি তিনি আরো জানান, ‘আমি কোনওদিন কোনও টাকা নেইনি, বরং আমার নিজের থেকে ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা দিয়েছি। ওই সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের বাঁচানোর জন্য। পরে শ্যামল সেন কমিশনের কাছে টাকা চেয়ে আমি আবেদনও জানিয়েছি।’
প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের পর সেখান থেকে বেরিয়ে প্রাক্তন তৃণমূলের বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী জানান, ‘আমি সর্বতোভাবে তদন্ততে সাহায্য করব। আগেও করেছি আগামী দিনেও করবো। তার কারণ আমি কিন্তু সারদার থেকে টাকা নেইনি টাকা দিয়েছি। আমি সাারদা থেকে ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাবো সেটা যেনো খেয়াল থাকে।’ আগামী দিনে তাকে ডাকা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, আগামী দিনে তাকে ডাকা হয়নি, তবে কাগজ সংক্রান্ত ব্যাপারে আবার যদি তাকে ডাকা হয় তিনি আসবেন। তদন্তে সব রকম ভাবে সাহায্য করবেন।