কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে বিজেপি ( bjp) প্রার্থী mukul roy অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছেন। এগিয়ে tmcর koushani mukherjee। এমনকি আদি বিজেপির কর্মী, ভোটার, সমর্থকরাও এবার বিজেপিকে প্রার্থীকে ভোট দিতে নারাজ।

কারণ :
1) ২০১৪ থেকে ২০১৬, এই মুকুলই বলে এসেছেন- বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও। নরেন্দ্র মোদির হাত রক্তে রাঙা।

2) ২০১৫ সাল- ধর্মতলার সমাবেশ থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের ডাক- ভাগ মুকুল ভাগ।

3) ২০১৬- বিধানসভা ভোটের আগে পার্টি অফিসে নারদের ভিডিও দেখিয়ে এই বিজেপি বলেছিল- মুকুল ঘুষখোর তোলাবাজ। ওর গ্রেপ্তার চাই।

মূলত এই তিন কারণে আদি বিজেপিরা মুকুলকে ভোট দিতে চাইছেন না। কৃষ্ণননগর উত্তরে লোকসভায় বিজেপির একটু লিড ছিল বলে মুকুল এখানে ঢুকেছেন। বঞ্চিত হয়েছেন কল্যাণ চৌবে, জয়প্রকাশ মজুমদাররা। নীতিগত কারণেই আর এস এস বিরক্ত।
এদিকে তার সঙ্গে আরও কিছু কারণ যোগ হয়েছে।
1) মুকুলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা চলছে। তখন যিনি অভিযোগ তুলেছিলেন সেই গৌরীশঙ্কর দত্ত এখন বিজেপিতে। এই সুযোগসন্ধানী রাজনীতি মানুষ নিচ্ছেন না।

2) মুকুলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা, নারদের মামলা রয়েছে। আদালতে সুদীপ্ত সেনের লিখিত বয়ানের পর সারদায় মুকুলের গ্রেপ্তারি সময়ের অপেক্ষা। একে ভোট দিয়ে কী হবে?

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের শাসকদের বেছে নিলে বড় মূল্য চোকাতে হবে বাংলাকে’, জানালেন অমর্ত্য সেন

3) ভোটাররা বুঝছেন মুকুল স্রেফ বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন।

4) মানুষকে এত উত্তর দেওয়ার ভয়ে মুকুল দুতিনটে ফ্লপ রোড শো ছাড়া প্রচার করেননি। মানুষের মুখোমুখি হননি। ছকবাজি করে বিজেপি কর্মীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।


প্রার্থীর ভাবমূর্তির তুলনা করলে মানুষ দেখছেন মুকুল এক অভিযুক্ত বিতর্কিত নেতা যাঁকে প্রচারেই পাওয়া গেল না। শুধু মোদির ছবি দেখিয়ে ভোট নেওয়ার তালে আছেন।
আর তৃণমূলের কৌশানী আজকের প্রজন্মের ঝকঝকে তরুণী, যিনি পর্দার পরিচিত গন্ডি ভেঙে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছেন, কাজ করতে চাই। তৃণমূলের অভ্যন্তরিণ চোরাস্রোত কৌশানীর আন্তরিক জনসংযোগে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। সঙ্গে একঝাঁক অভিজ্ঞ ও তরুণ সৈনিক।

এর সঙ্গে মানুষ ভাবছেন কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি আর রাজ্যের জনমুখী স্কিমগুলির কথা। অমিত শাহ, মিঠুনের রোড শো ডাহা ফ্লপ। সেখানে তৃণমূলপ্রার্থীর সভাগুলিতে মানুষের দারুণ উপস্থিতি। মহিলা ভোটাররা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর দূত কৌশানির দিকে। ফলে সর্বশেষ যা পরিস্থিতি, লোকসভার ঘাটতি মিটিয়ে প্রায় ছাব্বিশ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন কৌশানী।
