করোনা দমনে রাজ্যে কড়া প্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় রবিবার সকাল ৬ টা থেকে ৩০ মে পর্যন্ত চলবে কার্যত-লকডাউন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কড়া নজরদারি পুলিশ প্রশাসনের। আজ পুলিশি অভিযানে কলকাতা থেকে গ্রেফতার ২৩ জন। এই ২৩ জনের বিরুদ্ধে মহামারি আইনে ব্যবস্থার নেওয়া হবে। বিধি অমান্য করে কারণ ছাড়াই বাইরে বেরোনোর জন্য দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫৯টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর শহরে সকাল ১০টার পরেও খোলা রইল বেশকিছু বাজার। নিয়মভঙ্গের অভিযোগে ৬৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দিল্লি পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং কোভিডের ওষুধ পাচার করছিল তারা।

আসানসোলের মহিশীলা কলোনিতে অভিযান চালায় পুলিশ। ১০ টার পরেও কেন সবজই বাজার খোলা তা নিয়ে সেখানে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সরানো হয় অস্থায়ী ছাউনি। রানিগঞ্জে পুলিশি অভিযানের পর দোকান বন্ধ বিক্রেতারা। বারবার সতর্ক করা হয় টোটো ও অটো চালকদের। অন্যদিকে চোখে পড়ল বারাসাত চাঁপাডালি মোড়ে পুলিশি তৎপরতা তুঙ্গে। নাকা চেকিং ছাড়া কোনও গাড়ি ছাড়া হচ্ছে না। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে শ্রীরামপুরের কালীতলায় খোলা ছিল জিম। সামনের দরজা বন্ধ রেখে পিছনের দরজা দিয়ে লোকজন যাতায়াত করছে বলে জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আজ সকালে বন্ধ করে দেয় জিম। ২ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। জিম মালিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে থানায়।
আরও পড়ুন-অমিত মিত্রের চিঠিতে ঘুম ভাঙল, তড়িঘড়ি ডাকা হল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক

অন্যদিকে কলকাতার মুচিবাজার থেকে লেক মার্কেটের চিত্রটা ছিল ফাঁকা। মাইকিং করে মুচিবাজারে বাজার বন্ধ করে পুলিশ। এদিকে বিধি মেনেই সকাল ১০ টায় বন্ধ হয় লেক মার্কেট। গড়িয়ার পাটুলিতে রাস্তার ৯০ শতাংশ জুড়ে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। গাড়ি চালকদের কাছে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইছেন পুলিশ কর্মীরা। জবাবে সন্তুষ্ট না হলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বাইক চালকদের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক বলছে পুলিশ। মানিকতলা-হাজরায় প্রশাসনের কড়াকড়ির ছবি।

