Monday, August 25, 2025

‘কয়েক মাসের চাকরি ছিল, কোনও ফাইলে আমার সই নেই’, বাঁধভাঙা নিয়ে সাফাই শুভেন্দুর

Date:

Share post:

ইয়াসের(Yaas) পর রাজ্যের সেচ দফতরের কাজে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। যার ফলে চাপ বেড়েছিল এই দফতরের মন্ত্রী পদে থাকা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari)। বুধবার রাজভবনের সামনে সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। কেন বাঁধ মেরামত ঠিকঠাক করে হয়নি এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর সাফাই, ‘আমার কয়েক মাসের মাত্র চাকরি ছিল। কোনও ফাইলে আমার সই নেই।’ পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি মুখ্যমন্ত্রী কাজ করতে দেননি।

বুধবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজভবনের সামনে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে ইয়াসের জেরে বাঁধভাঙা ও সেচ দফতরে দুর্নীতি প্রসঙ্গে এদিন প্রশ্ন করা হয় শুভেন্দুকে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে মন্ত্রী করা হয়েছিল ২০১৯ সালের জুন-জুলাই মাসে। এরপর ২২ মার্চ ২০২০ থেকে জনতা কার্ফু। ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার ঠিক এক মাস পর অর্থ দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, প্ল্যানে এক কোটি টাকার বেশি খরচ করা যাবে না।’ পাশাপাশি তিনি দাবি করেন ‘সেচ দফতরের মন্ত্রী হলেও কোনও ফাইলে শুভেন্দু অধিকারীর সই নেই। সই আছে নবীন প্রকাশের, সই রয়েছে এইচকে দ্বিবেদীর, এবং সই রয়েছে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের।’ এরপরই রীতিমতো তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘শুধু শুভেন্দু অধিকারী কেন, কোনও মন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী কাজ করতে দেন না। আর আমার তো কয়েক মাসের চাকরি ছিল।’

আরও পড়ুন:‘অ্যারেস্ট-ওয়ারেন্ট’ ছাড়াই ৪ নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়, হাইকোর্টে মেনে নিলো CBI

যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবি ধোপে টিকছে না। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ২০১৯ সাল থেকেও যদি শুভেন্দু অধিকারি মন্ত্রী হন তবে এক বছরেরও বেশি সময় তিনি মন্ত্রী ছিলেন। ওই সময় কালে বাঁধের যে সমস্ত কাজ হয়েছে তা যে অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল সেটা ইয়াসের ঝাপটা বেশ ভালোরকম বুঝিয়ে দিয়েছে। গ্রামের পর গ্রাম বাঁধ ভেঙে কার্যত ভেসে গিয়েছে। দায়িত্বে থেকে এভাবে দায় এড়াতে পারেন না শুভেন্দু। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারীর আগে এই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া আরও এক নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

একই সঙ্গে বুধবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতেও তোপ দাগতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের বেআইনি কাজ কর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিলেন আলাপনবাবু। তাই তাঁকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী উঠেপড়ে লেগেছেন। যদিও শুভেন্দুর এই মন্তব্যের পাল্টা তোপ দেগে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘নারদা ও সারদা মামলায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারীর জেল হওয়া উচিত। জেল যাত্রা থেকে বাঁচতেই বিজেপিতে গিয়ে কুৎসা করছেন।’

Advt

spot_img

Related articles

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...

DHFC-র পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত অভিষেক, দিলেন শুভেচ্ছা বার্তা

ডুরান্ড অভিষেকেই সকলকে চমকে দিয়েছে ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হয়ত তারা পারেনি নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে। কিন্তু গোটা...

উড়ালপুল–সেতুর নীচে বেআইনি দখলদারি সরাতে ‘উচ্ছেদ অভিযান’! উদ্যোগী কেএমডিএ 

কলকাতার উড়ালপুল ও সেতুর নীচ থেকে বেআইনি দখলদারি সরাতে উদ্যোগী হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। ইতিমধ্যেই চারটি...