নারদ-মামলায় মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করলো না বৃহত্তর বেঞ্চ

হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ বুধবার নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে৷ অথচ CBI-ই মামলা স্থানান্তর নিয়ে অতিরিক্ত হলফনামা পেশ করে এই মামলায় পক্ষভুক্ত করেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীকে৷ এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদিকে জানান, “এই মুহুর্তে নতুন কোনও হলফনামা আদালত গ্রহণ করবে না৷ আপনার সওয়ালের সময় হলফনামা পেশ করতে পারেন৷”

 

◾বুধবারের শুনানির শুরুতেই এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর তরফে হলফনামা দাখিল করতে চান বিশিষ্ট আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদি।

 

◾এতে আপত্তি জানান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা৷ মেহেতা বলেন, “আমার আর্গুমেন্ট শেষ হওয়ার পর কিছু হলফনামা জমা পড়ছে৷ এটা ঠিক নয়৷ আমাদের বক্তব্য রয়েছে ওইসব হলফনামা নিয়ে৷

 

◾ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি – গত ৩ জুন সলিসিটর জেনারেল তার আর্গুমেন্ট শেষ করেন। তারপর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল

(AG) বলতে চান। আমরা অনুমতি দিইনি৷ আমরা বলেছিলাম, হলফনামা গ্রহণ করা হবে না।

তারপর মিঃ সিংভি বলতে শুরু করেছেন।

◾ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি – আমরা এই হলফনামা পেশের অনুমতি দিচ্ছি না। একপক্ষের সওয়াল ইতিমধ্যেই সম্পূর্ন হয়েছে। তাই আমরা এই হলফনামা গ্রহন করছি না।

 

◾বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায় – হলফনামা পেশ করার বিষয়টি আগে জানলে সলিসিটর জেনারেল সেই ভাবে আর্গুমেন্ট করতে পারতেন।

 

◾মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদি – গত ২ জুন CBI অতিরিক্ত হলফনামা দাখিল করেছে৷ সেখানে আমাদের পক্ষভুক্ত করা হয়েছে৷ তাহলে আমরা কেন হলফনামা পেশ করতে পারবো না ?

 

◾মেহেতা – আমার বক্তব্য পেশ করার সময়ই বলেছিলাম, প্রতিবাদী নেতাদের পক্ষভুক্ত করা হলেও কেউ এখনও হলফনামা পেশ করেননি। আজ, এখন তারা নিজেদের ভূল সংশোধন করছেন।

 

◾AG – আইন অনুযায়ী হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যে ৪ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়।

 

◾মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদি – নতুন ভাবে যাদের মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয়েছে, তাদের হলফনামা জমা দেওয়ার সময় দিতে হবে। আমরা ৭ দিনের মধ্যেই হলফনামা পেশ করেছি। প্রয়োজন হলে CBI-কে ফের সওয়াল করার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া হোক।

 

◾বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়, রাকেশ দ্বিবেদিকে – যখন আপনাদের এই মামলায় পক্ষভুক্ত করা হয়েছে, তখনই আপনারা হলফনামা জমা দেওয়ার অনুমতি চাইতে পারতেন৷

 

◾ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, রাকেশ দ্বিবেদিকে – আমরা ইতিমধ্যে এই মামলা একসপ্তাহ ধরে শুনছি। আপনি কি চান আমরা আবার একই বিষয় শুনি ? আপনি আদালতের সঙ্গে এটা করতে পারেন না।

 

◾মেহেতা – আদালত পরিচালনার একটা নিয়ম আছে, মর্যাদা আছে। যা হচ্ছে তা অভূতপূর্ব। আদালত অবিলম্বে পদক্ষেপ করে একটা উদাহরন তৈরি করুক।

 

◾AG – হ্যাঁ, সত্যিই অভূতপূর্ব। CBI একটা চিঠি দিয়ে মামলা স্থানান্তরের আবেদন করছে।

 

◾ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি,রাকেশ দ্বিবেদিকে – এই মুহুর্তে নতুন কোনও হলফনামা আদালত গ্রহণ করবে না৷ আপনার সওয়ালের সময় পেশ করবেন৷