আগরার শ্রী পরশ হাসপাতালের একসঙ্গে ২২ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। সম্প্রতি ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীদের মধ্যে অক্সিজেন ছাড়া কারা বাঁচতে পারেন তা দেখার জন্য এক অদ্ভুত পরীক্ষা চালান সেখানকার কর্তৃপক্ষ। এর জন্য নাকি মিনিট পাঁচেক অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর তাতেই মুন্নি দেবী নামে এক প্রৌঢ়া-সহ ২২ জনের মৃত্যু হয়। এই তথ্য সামনে আসার পর মুন্নি দেবীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা আবার দাবি করলেন, ঘটনার দিন নাকি রিসেপশন ডেস্ক-সহ হাসাপাতালের অর্ধেকেরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। তাঁর আরও অভিযোগ, মুন্নি দেবীকে ওষুধ দিয়ে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে বলে হাসপাতাল জানালেও গায়ে ইঞ্জেকশনের কোনও চিহ্নই ছিল না!

প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছএন, তিনি নিজেও একটি হাসপাতালে কাজ করেন। হাসপাতালের তরফে বলা হয় ওষুধ কিনে চিকিৎসকের হাতে দিতে। তাঁর দাবি মুন্নি দেবীকে কোভিড ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হলেও করোনার কোনও ওষুধই তাঁকে দেওয়া হয়নি। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন এই অভিযোগ নিয়ে এবার তিনি আইনি পথে লড়বেন।

অক্সিজেন পরীক্ষার জেরে রোগীদের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই হাসপাতালটি সিল করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ঘটনার পুর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয় প্রতাপ সিংহ।
