অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণকারী দেবাশিস আচার্যর রহস্যমৃত্যু। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তার তদন্ত নিশ্চিতভাবে পুলিশ করবে। কিন্তু রহস্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন মৃতের মা। সরাসরি তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ছেলেকে ‘ইউজ করেছে’। আর এখানেই রহস্য বাড়ছে।

কেন? দেবাশিস ছিলেন বিজেপি নেতা কণিষ্ক পণ্ডার ঘনিষ্ঠ। কে এই কণিষ্ক পণ্ডা? কণিষ্ক শুভেন্দু অধিকারীর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ভোটের আগে শুভেন্দুর সঙ্গে দল ছেড়েছেন। প্রত্যেকদিন কদর্য ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। এবং বেশিরভাগ সময়ে কণিষ্কের পাশে দেখা গিয়েছে দেবাশিসকে। দেবাশিসের মৃত্যুর পর ঘনিষ্ঠরা যতই বলুন তিনি কোনও দল করতেন না, হিন্দু সংহতি সংগঠন করতেন, আসলে তিনি বিজেপির সঙ্গেই ছিলেন। কণিষ্কের সঙ্গেই তাঁর রাজনীতির ঘূর্ণাবর্ত ছিল বলে এলাকার আর একদল দেবাশিস ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন। আর এখানেই কেউ কেউ রহস্য খুঁজে পাচ্ছেন।

দেবাশিসের মা পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, আমার ছেলেটাকে ওরা একটা চাকরি দিল না। ছেলেটা শুধু কাজ-কাজ করে গেছে। কিন্তু একটা কাজ কেউ দিল না। দেবাশিস বিজেপি পরিবৃত্তে থাকত, আরও নির্দিষ্ট করে কণিষ্কের সঙ্গে। নিশ্চিত তাদের কাছেই তো কাজ চেয়েছিলেন দেবাশিস। তাহলে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ব্যবহার করেছে এই গোষ্ঠীই। কারণ, দেবাশিসের সঙ্গে আর যাই হোক তৃণমূলের রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক ছিল না। ফলে তীরটা কণিষ্ক তথা বিজেপির দিকেই যাচ্ছে। অর্থাৎ দেবাশিসের মায়ের অভিযোগের তীর কি সেই দিকেই? তদন্তে নিশ্চিত আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

৬ বছর আগে চণ্ডীপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন দেবাশিস। কার প্ররোচনায়, কার কথায়, কার নির্দেশে এই কাজ করেছিলেন তিনি? সেই রহস্য ঢাকা দিতেই কি ‘রহস্য মৃত্যু’র মোড়ক? প্রশ্ন উঠছে। আগামিদিনে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে পারে পুলিশি তদন্তেই।

আরও পড়ুন:মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন কীভাবে? আজ ঘোষণা রাজ্যের
