জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই পরিস্থিতি। শিশু ওয়ার্ডে ভিড় বাড়ছে সদ্যজাত থেকে শুরু করে ১০ বছরের শিশুদের। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩২টি শিশু নতুন করে জ্বর নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে ৯৫টি শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে শতাধিক শিশু জ্বর, সর্দি, পেটখারাপ ইত্যাদি নানা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। আজ মালদহ মেডিক্যাল কলেজে আইসিইউ-তে থাকা ৩টি শিশুর মৃত্যু হয়। কারও বয়স ৭ বছর, কারও বয়স ৫ বছর। তাদের শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্টও ছিল। শিশুদের এই জ্বরের চিকিৎসা করতে ইতিমধ্যে তৎপর হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:“বাচ্চা মেয়ে, প্রচারে আসার জন্য লাফালাফি করছে”, প্রিয়াঙ্কাকে কটাক্ষ ববির
জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও সর্দি নিয়ে ভর্তি হওয়া ওই তিন শিশুর মৃত্যুতে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের। চিকিৎসকেরা যদিও বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় এই জ্বর ছড়ায়। এক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা জ্বরের ক্ষেত্রে যা চিকিৎসা রয়েছে, সেই পদ্ধতিতেই শিশুদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি জানান, ‘‘আমরা ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম। বুধবার গভীর রাতে রিপোর্ট এসেছে। তিন জনের শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাস, তিন জনের শরীরের আরএসভি ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতি বছর হয়, সেটাই হয়েছে। এর উপসর্গ দেখে চিকিৎসা হয়। শিশুদের সাবধানে রাখুন। অসুস্থ হলে আলাদা করে রাখুন। কারণ এই রোগ সংক্রমিত হতে পারে।’’ পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানি থেকে নিজেদের বাঁচাতে একটি চিকিৎসকের দল তৈরি করেছে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

অন্যদিকে মালদহ ছাড়াও অজানা জ্বরে জলপাইগুড়িতে মৃত্যু হয়েছে ২ শিশুর। জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় বাড়ছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজেও। সেখানকার শিশু বিভাগে জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ভর্তি শিশুর সংখ্যা ৩০ পেরিয়েছে।এদিকে মুর্শিদাবেদেও জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছে ৮০ শিশু। সকলের রক্ত ও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ৩০জন শিশু ।

