বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা:

ভারত থেকে চুল আমদানি করছে বাংলাদেশ, তাও আবার চড়া দামে। মহিলাদের পরচুলা তৈরির জন্য চুলের চাহিদা তুঙ্গে। আর তাই ভারত থেকে চুল আমদানি বাড়িয়েছে ওপার বাংলা। চুলের চাহিদা থাকার কারণে এখন দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ভারত থেকে ওপার বাংলায় রফতানি করা হচ্ছে চুল। তারপরে সেই চুল পাঠানো হচ্ছে ঢাকা সহ অন্যান্য এলাকার হেয়ার ক্যাপ কারখানায়।

পশ্চিমবঙ্গের আর কে এক্সপোর্টার্স এবং হিউম্যান হেয়ার নামক দুটি রফতানি সংস্থা বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে চুল। হিলি সীমান্ত দিয়ে সেই চুলের আমদানি করছে নাশাত ট্রেডার্স ও ঢাকার আশিক এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি সংস্থা।নাশাত ট্রেডার্সের পক্ষে নুর ইসলাম জানান, ওপার বাংলায় বেশ কিছু হেয়ার ক্যাপ কারখানা হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে চাহিদা মেটানোর পরে ওই কারখানা থেকে বিদেশেও ওই হেয়ার ক্যাপ রফতানি করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে , এই জন্য প্রধান কাঁচামাল হল মহিলাদের মাথার চুল। ঝরে পড়া চুল কেনা হচ্ছে চড়া দামে, যা দিয়ে তৈরি হয় পরচুলা। তাই চুলের চাহিদা বেড়েছে। ভারত থেকে নিয়মিত চুল আমদানি করা হচ্ছে ।

সংস্থার কর্ণধার বলেন, ‘ আঁচড়ানোর সময় অনেকক্ষেত্রে চুল ঝরে পড়ে। সেই চুল অনেকে বিক্রি করেন। আমরা সেগুলি আমদানি করে বিভিন্ন কারখানাতে পাঠিয়ে দিই।’ তিনি জানান, এই চুল আমদানি করা হচ্ছে ৬৩ ডলার বা ৫৩০০ টাকা কেজি দরে। তারপরে এই আমদানির জন্য তাদের কাস্টমস শুল্ক দিতে হয়। প্রতি কেজিতে ৮৫০ টাকা করে শুল্ক লাগে।
হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব আধিকারিক এস এম নুরুল আলম খান জানিয়েছেন, এই বছরের জুলাই থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৭৮০ কেজি চুল আমদানি করা হয়েছে। এর ফলে তাদের প্রায় ২০ লাখ ২৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ আধিকারিক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘এই বন্দর দিয়ে অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি এখন চুল আমদানিও শুরু হয়েছে। এর ফলে রাজস্ব আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বন্দরের দৈনন্দিন আয় আগের তুলনায় বেড়েছে।’ এদিকে, হেয়ার ক্যাপের চাহিদা রয়েছে দুই বাংলাতেই। আর এর জেরেই দিন দিন বাড়ছে চুলের চাহিদাও। অন্যদিকে, এর ফলে লাভের মুখ দেখছেন দুই বাংলার বহু ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ।
